কসম সংক্রান্ত একটি মাসআলা।

প্রশ্ন                                                                                         

আমি কুরআনের কসম করে বলি যে, আমি এই কাজ করব। কিন্তু পরে আমি আর ঐ কাজটা করতে পারিনি। এখন জানার বিষয় হলো, আমার ঐ কথার কারণে কি কসম হয়েছিল? এখন আমার করণীয় কি?

উত্তর                                                                                       

بسم الله الرحمن الرحيم

حامدا و مصليا و مسلما

হাঁ, প্রশ্নোক্ত কথার কারণে আপনার কসম সংঘটিত হয়েছে। পরবর্তীতে ঐ কাজটি না করার কারণে আপনার কসমটি ভঙ্গ হয়েছে। এখন আপনার কর্তব্য হলো, কসম ভঙ্গের কাফ্ফারা আদায় করা। কসমের কাফ্ফারা হলো, দশজন দরিদ্র ব্যক্তিকে দুইবেলা তৃপ্তি সহকারে খানা খাওয়ানো বা এর মূল্য দিয়ে দেওয়া। অথবা দশজন দরিদ্র ব্যক্তিকে এক জোড়া করে পোশাক দেওয়া। তবে কেউ যদি এর কোনোটির সামর্থ্য না রাখে তাহলে সে লাগাতার তিনটি রোযা রাখবে।

প্রকাশ থাকে যে, আল্লাহ তাআলার নাম ব্যতীত কোনো কিছুর কসম করা নিষেধ। তাই কেউ কসম করতে চাইলে আল্লাহর নামেই কসম করা আবশ্যক।

-সুরা মায়েদা, আয়াত : ৮৯; ফাতহুল কাদীর ৪/৩৫৬; আলবাহরুর রায়েক ৪/২৮৬; ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ২/৫৩, ২/৬১; রদ্দুল মুহতার ৩/৭২৬

আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।

و الله تعالى أعلم بالصواب

وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم

উত্তর দিচ্ছেন: ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী