মুসাফির অবস্থায় নামায পড়ার বিধান কী?
প্রশ্ন
সফর অবস্থায় কোন কোন নামায কসর করতে হয়? মুসাফির ব্যক্তি ফরয ও সুন্নত নামায কীভাবে আদায় করবে?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
মুসাফিরের জন্য সফর অবস্থায় কোনো মুকীমের ইক্তিদা না করলে কসর করা অর্থাৎ চার রাকাত বিশিষ্ট ফরয নামায দুই রাকাত পড়া জরুরি। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন,
فَرَضَ اللهُ الصَّلَاةَ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّكُمْ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْحَضَرِ أَرْبَعًا، وَفِي السَّفَرِ رَكْعَتَيْنِ.
আল্লাহ তাআলা তোমাদের নবীর যবানে নামাযকে মুকীম অবস্থায় চার রাকাত ও সফর অবস্থায় দুই রাকাত ফরয করেছেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৬৮৭)
আর মুকিমের পিছনে ইকতিদা করলে পূর্ণ নামাযই পড়তে হবে। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন,
إِذَا دَخَلَ الْمُسَافِرُ فِي صَلَاةِ الْمُقِيمِينَ صَلَّى بِصَلَاتِهِمْ.
মুসাফির যদি মুকিমদের সাথে নামাযে শরীক হয় তবে সে তাদের মত (চার রাকাত) নামায পড়বে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদিস: ৩৮৪৯)
আর মাগরিব, বিতর ও ফজরের নামায পূর্ণই আদায় করতে হবে। এগুলোর কসর নেই। তেমনিভাবে সুন্নত নামাযেরও কসর হয় না। তাই সুন্নত পড়লে পুরোই পড়বে।
উল্লেখ্য যে, বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী সফর অবস্থায় সুন্নতে মুআক্কাদা নামাযগুলো মুকীম অবস্থার ন্যায় আবশ্যক থাকে না; বরং সাধারণ সুন্নতের হুকুমে হয়ে যায়। তাই মুসাফির ব্যক্তি সফর অবস্থায় পথিমধ্যে তাড়াহুড়া ও ব্যস্ততার সময় সুন্নত না পড়লে কোনো সমস্যা নেই । তবে গন্তব্যে পৌঁছার পর সুন্নত নামায পড়াই উত্তম।
-আলমুহীতুল বুরহানী ২/৩৮৩; শরহু মুখতাসারিত তহাবী ২/৯১; আদ্দুররুল মুখতার ২/১৩১
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন: ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী