তারাবীহর নামায পড়িয়ে হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে কি?

প্রশ্ন                                                                                         

আমি তিন বছর যাবৎ গ্রামের একটি মসজিদে তারাবীহ পড়াই। মসজিদের কমিটি আমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমাকে অল্প কিছু হাদিয়া দিয়েছে। আর আমার ছোট ভাইও দু’বছর একটি বাসায় তারাবীহ পড়িয়েছে এবং একইভাবে তাকেও হাদিয়া দেওয়া হয়। আর একজন মুসল্লি তাকে একটি পাঞ্জাবির কাপড়ও দিয়েছেন। জানার বিষয় হল, এই হাদিয়া কি আমাদের জন্য বৈধ হবে?

উত্তর                                                                                       

بسم الله الرحمن الرحيم

حامدا و مصليا و مسلما

খতম তারাবীহতে কুরআন তিলাওয়াত ও খতম করা প্রধান উদ্দেশ্য। আর তিলাওয়াতের বিনিময় গ্রহণ করা নাজায়েয। হাদিস শরিফে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা কুরআন পাঠ করো। তাতে সীমালঙ্ঘন করো না, তা থেকে দূরে থেকো না, তা দ্বারা ভক্ষণ করো না এবং তার মাধ্যমে প্রাচুর্য কামনা করো না। (মুসনাদে আহমাদ,হাদিস: ১৫৫২৯)

আবু ইসহাক সাবীয়ী (রাহ.) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে মা‘কিল (রাহ.) রমযান মাসে তারাবীহর নামায পড়ালেন। ঈদুল ফিতরের দিন উবায়দুল্লাহ ইবনে যিয়াদ তাকে এক জোড়া কাপড় এবং পাঁচ শ দিরহাম হাদিয়া দিলে তিনি তা এই বলে ফিরিয়ে দিলেন যে, আমরা কুরআন তিলাওয়াতের কোনো বিনিময় গ্রহণ করি না। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদিস: ৭৮২১)

প্রশ্নোক্ত অবস্থায় আপনাকে এবং আপনার ভাইকে এ সংক্রান্ত যে টাকা দেওয়া হয়েছে তা সদকা করে দিতে হবে। তবে ব্যক্তি বিশেষের পক্ষ থেকে দেওয়া ঐ জামার কাপড়টি যদ্দুর মনে হচ্ছে খালেস হাদিয়া হিসাবে দেওয়া হয়েছে। তাই আপনার ভাইয়ের জন্য এটি নেওয়া বৈধ হবে।

-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদিস: ৭৮২২; কিতাবুল আছল ৪/১৫; ইনকাদুল হালিকীন ৯৭

আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।

و الله تعالى أعلم بالصواب

وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم

উত্তর দিচ্ছেন: ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী