ইমাম সাহেব কেরাতে ভুল করলে করণীয়।
প্রশ্ন
আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব এশার নামাযের প্রথম রাকাতে সূরা ‘লাইল’ পড়ার সময়- وَ سَیُجَنَّبُهَا الْاَتْقَی،الَّذِیْ یُؤْتِیْ مَالَهٗ یَتَزَكّٰی. আয়াতের الْاَتْقَی -এর জায়গায় الْاَشْقَی পড়ে ফেলেন এবং ওভাবেই নামায শেষ করেন। নামাযের পরে একজন আলেম বললেন, নামাযের কেরাতে ভুল হয়েছে; তাই নামায হয়নি। সুতরাং পুনরায় পড়তে হবে। ফলে নামায পুনরায় পড়া । সেই আলেমের কথা কি ঠিক আছে? পুনরায় নামায পড়া কি দরকার ছিল?উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি ইমাম সাহেব وَسَیُجَنَّبُهَا الْاَشْقَی -এর সাথে الَّذِیْ یُؤْتِیْ مَالَهٗ یَتَزَكّٰی মিলিয়ে পড়ে থাকেন এবং এই দুই আয়াতের মাঝে ওয়াকফ না করে থাকেন তাহলে উক্ত নামায ফাসেদ হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে উক্ত নামায পুনরায় পড়ে নেওয়া ঠিকই হয়েছে। কিন্তু যদি উক্ত স্থানে ওয়াকফ করে পরবর্তী অংশ পড়ে থাকেন তাহলে উক্ত নামায শুদ্ধ বলে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে আদায়কৃত নামায নফল গণ্য হবে। -ফাতাওয়া খানিয়া ১/১৪৬; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১১৫; রদ্দুল মুহতার ১/৬৩৩; ফাতহুল কাদীর ১/২৮৩; আলহাবিল কুদসী ১/২১৫; যাদুল ফাকীর, পৃ. ১৪২আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন: ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী সূত্র:https://www.drkhalilurrahman.com/?p=26484&preview=true