অন্যের হক নষ্ট করলে তাওবা করার পন্থা কী
প্রশ্ন
আমি একবার জোর করে এক ব্যক্তি থেকে কিছু টাকা নিয়ে নিই। বর্তমানে আমি আমার কাজের জন্য লজ্জিত। আমি তাওবা করতে চাই। আমি কীভাবে তাওবা করব?উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
অন্যের কোনো বস্তু অন্যায়ভাবে গ্রহণ করলে তাকে তা ফেরত দেওয়া জরুরি। তাকে তা ফেরত দেওয়া ব্যতীত আপনার তাওবা কবুল করা হবে না। হাদিস শরিফে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোনো বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার থেকে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোনো দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) বা দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা) থাকবে না। যদি তার সৎকর্ম থাকে তাহলে তার সৎকর্ম থেকে জুলুমের সমপরিমাণ কেটে রাখা হবে। আর তার সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে জুলুমের সমপরিমাণ নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৪৪৯] ইমাম নববী (রহ.) বলেন, কেউ যদি কোনো বান্দার হক নষ্ট করে তাহলে তার তাওবা কবুল হওয়ার জন্য চারটি শর্ত রয়েছে। ১। গুনাহ ত্যাগ করা। ২। কৃত কর্মের জন্য অনুতপ্ত হওয়া। ৩। সে গুনাহে পুনরায় লিপ্ত না হওয়ার দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়া। ৪। হকদারের হক পৌঁছে দেওয়া। যদি এ চারটি শর্তের কোনো একটি না পাওয়া যায় তাহলে সে তাওবা শুদ্ধ হবে না। [রিয়াদুস সালেহীন, পৃ. ৩৩ ] ফাতাওয়া লাজনাতুদ দায়েমা ৪/১৬৫আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন: ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/1852/article-details.html