রসুন খাওয়া যাবে কি

প্রশ্ন                                                                                                  

রসুন খাওয়ার ব্যাপারে শরিয়তের কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে কি?

উত্তর                                                                                                

بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما

কাঁচা রসুন খাওয়াকে রাসূল (সা.) অপছন্দ করতেন। কারণ, কাঁচা রসুনে মুখে দুর্গন্ধ হয়। হাদিস শরিফে এসেছে,

أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، ذُكِرَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الثُّومُ وَالْبَصَلُ، وَقِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَأَشَدُّ ذَلِكَ كُلُّهُ الثُّومُ، أَفَتُحَرِّمُهُ؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «‌كُلُوهُ ‌وَمَنْ ‌أَكَلَهُ ‌مِنْكُمْ ‌فَلَا ‌يَقْرَبْ ‌هَذَا ‌الْمَسْجِدَ حَتَّى يَذْهَبَ رِيحُهُ مِنْهُ

‘আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা.) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে পেঁয়াজ-রসুন সম্পর্কে কথা উঠলো। বলা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! এর মধ্যে রসুনের গন্ধটাই খুব বেশী। আপনি কি এটা হারাম করেন? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা তা খেতে পারো। তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তা খায় সে যেন মুখের গন্ধ দূর না হওয়া পর্যন্ত অবশ্যই এ মসজিদের নিকটে না আসে।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৩৮২৩]

তবে রান্না করে খাওয়াতে কোনো সমস্যা নেই। হাদিস শরিফে এসেছে,

عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ هَاتَيْنِ الشَّجَرَتَيْنِ، وَقَالَ: «مَنْ أَكَلَهُمَا فَلَا يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا» وَقَالَ: «‌إِنْ ‌كُنْتُمْ ‌لَا ‌بُدَّ ‌آكِلِيهِمَا ‌فَأَمِيتُوهُمَا ‌طَبْخًا» قَالَ: يَعْنِي الْبَصَلَ وَالثُّومَ

‘মু’আবিয়া ইবনে কুররাহ (রহ.) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’টি গাছ থেকে বারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি ঐ গাছ দু’টো খাবে সে যেন অবশ্যই আমাদের মসজিদে না আসে। তিনি আরো বলেছেন, তোমাদের যদি একান্তই এটা খেতে হয় তাহলে রান্না করে দুর্গন্ধ দূর করে খাও। বর্ণনাকারী বলেন, গাছ দু’টি হলো পেঁয়াজ ও রসুন।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৩৮২৭]

আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।

و الله تعالى أعلم بالصواب

وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم

উত্তর দিচ্ছেন: ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/20048/article-details.html