প্রশ্ন
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের শুধু যোহর ও আসরে আস্তে কেরাত পড়া হয় কেন?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শরিয়তের বিধান হল, যোহর ও আসরের নামাজে কেরাত আস্তে পড়বে। তাছাড়া রাসূল (সা.) সর্বদা যোহর ও আসরে আস্তে কেরাত পড়েছেন। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، قَالَ سَأَلْنَا خَبَّابًا أَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ قَالَ نَعَمْ. قُلْنَا بِأَىِّ شَىْءٍ كُنْتُمْ تَعْرِفُونَ قَالَ بِاضْطِرَابِ لِحْيَتِهِ
‘আবু মামার (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা খাব্বাব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূল (সা.) কি যোহর ও আসরের নামাজে কেরাত পড়তেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমরা প্রশ্ন করলাম, আপনারা কী করে তা বুঝতেন? তিনি বললেন, তাঁর দাড়ির নড়াচড়ায়।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৭৬০]
এজন্য আমরা যোহর ও আসরে আস্তে কেরাত পড়ে থাকি। এ ছাড়া অন্য কোনো কারণ কুরআন হাদিসে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি।
তবে কোনো আলেম এর ব্যাখ্যায় বলার চেষ্টা করেছেন যে, দিনের বেলা মানুষ কর্মব্যস্ত থাকে তাই কুরআন তেলাওয়াত করলে তারা মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করতে পারবে না। এই কারণে দিনের নামাজে আস্তে কেরাম পড়া হয়।
অপরদিকে রাতের বেলা মানুষ ফ্রি থাকে সেসময় উচ্চস্বরে কেরাত পড়লে মানুষ মনোযোগ দিয়ে শুনবে। এ কারণে জোরে কেরাত পড়তে বলা হয়েছে।
হাশিয়াতুত তাহতাভী আলা মারাকিল ফালাহ, পৃ. ২৫৩
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/9328/article-details.html