প্রশ্ন
আল্লাহ তাআলা সকল ভাষা বুঝতে পারেন। তাহলে শুধু আরবি ভাষায় নামাজ পড়তে হয় কেন?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আল্লাহ তাআলা সকল ভাষার সৃষ্টিকর্তা এবং সকল ভাষা তিনি বুঝেন। কিন্তু অন্যান্য ভাষার তুলনায় আরবি ভাষার বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন, আল্লাহ তাআলার ভাষা আরবি। রাসূল (সা.)-এর ভাষা আরবি। জান্নাতিদের ভাষাও আরবি। এ কারণে আরবি ভাষায় নামাজে কুরআন পাঠ করা হয়। তাছাড়া রাসূল (সা.) থেকেও ভিন্ন ভাষায় কুরআন পাঠ করার কোনো অনুমোদন পাওয়া যায়নি। বরং রাসূল (সা.) কোনো মতভেদ দেখলে সাহাবায়ে কেরামের অনুসরণ করতে বলেছেন। আর কোনো সাহাবী ভিন্ন ভাষায় নামাজে তেলাওয়াত করেছেন বলে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
‘তোমাদের মধ্যে যারা আমার মৃত্যুর পরও জীবিত থাকবে, তারা অনেক মতভেদ দেখতে পাবে। তখন তোমাদের কর্তব্য হল, আমার এবং আমার সৎপথ প্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনদের সুন্নত মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরা।’ [মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৭১৪৪]
সুতরাং রাসূল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম থেকে যেভাবে ইবাদতের পদ্ধতি বর্ণিত আছে সেভাবেই ইবাদত করতে হবে।
বিশ্বের সকল ফুকাহায়ে কেরাম এ ব্যাপারে একমত যে, নামাজে আরবি ভাষায়ই কুরআন তেলাওয়াত করতে হবে। ভিন্ন ভাষায় করলে নামাজ শুদ্ধ হবে না।
সুতরাং সকল ভাষার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলা হলেও যেহেতু আরবি ভাষায়ই কুরআন পড়ার নির্দেশ রয়েছে, তাই আরবিতেই কুরআন পড়তে হবে।
রদ্দুল মুহতার ১/৪৮৪; আল মাজমু ৩/৩৭৯; আল মুগনী ২/১৫৮
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/9231/article-details.html