প্রশ্ন
আমি মেরাজ সম্পর্কিত একটি বইয়ে পড়লাম, প্রথমে নাকি পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে পাঁচ ওয়াক্তে এসে ঠেকে। এখন কেউ যদি পাঁচ ওয়াক্ নামাজ পড়ে তাহলে তাকে পঞ্চাশ ওয়াক্তের সওয়াব দেওয়া হবে। প্রশ্ন হল, আসলেই কি পাঁচ ওয়াক্ত পড়লে পঞ্চাশ ওয়াক্তের সওয়াব পাওয়া যাবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ فُرِضَتْ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ الصَّلَوَاتُ خَمْسِينَ ثُمَّ نُقِصَتْ حَتَّى جُعِلَتْ خَمْسًا ثُمَّ نُودِيَ يَا مُحَمَّدُ إِنَّهُ لاَ يُبَدَّلُ الْقَوْلُ لَدَىَّ وَإِنَّ لَكَ بِهَذِهِ الْخَمْسِ خَمْسِينَ
‘আনাস ইবনে মালিক (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, মিরাজের রাতে রাসূল (সা.)-র উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরজ করা হয়েছিল। অতঃপর তা কমাতে কমাতে পাঁচ ওয়াক্তে সীমাবদ্ধ করা হয়। অতঃপর ঘোষণা করা হল, হে মুহাম্মাদ! আমার নিকট কথার কোনো অদল বদল নাই। তোমার জন্য এই পাঁচ ওয়াক্তের মধ্যে পঞ্চাশ ওয়াক্তের সওয়াব রয়েছে।’ [সুনানে তিরমিযী, হাদিস: ২১৩]
সুতরাং কেউ যদি যথাযথভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে তাহলে আশা করা যায় সে পঞ্চাশ ওয়াক্তের সওয়াব পেয়ে যাবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/9229/article-details.html