প্রশ্ন
কিছুদিন আগে আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব অপবিত্র অবস্থায় যোহরের নামাজ পড়ান। ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাওয়ার পর তার স্মরণ হয় যে, তিনি অপবিত্র অবস্থায় নামাজ পড়িয়েছেন। প্রশ্ন হল, আমাদের সেদিনের নামাজ কি কাজা করে নিতে হবে? মুসল্লীদের এক গ্রুপ বলছেন যে, কাজা না করলেও চলবে। অতিসত্ত্বর উত্তর জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
মুসল্লীদের নামাজের শুদ্ধতা ইমামের নামাজের উপর নির্ভরশীল। ইমামের নামাজ হলে মুসল্লীদের নামাজ হবে। ইমামের নামাজ নষ্ট হয়ে গেলে মুসল্লীদের নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। অপবিত্র অবস্থায় থাকার কারণে যেহেতু সেদিনের যোহরের নামাজ ইমাম সাহেবের হয়নি তাই মুসল্লীদের নামাজও নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই মুসল্লীদেরকেও সেদিনের নামাজ কাজা করে নিতে হবে। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ: صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَصْحَابِهِ مَرَّةً وَهُوَ جُنُبٌ فَأَعَادَ بِهِمْ
‘ইবনে মুসাইয়্যিব (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসূল (সা.) অপবিত্র অবস্থায় সাহাবায়ে কেরামদেরকে নিয়ে নামাজ পড়ান। পরবর্তীতে পুনরায় তাদেরকে নিয়ে সেই নামাজ আদায় করেছিলেন।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ৩৬৬০]
সুতরাং আপনাদের সকলের উপর আবশ্যক হল, সেদিনের যোহরের নামাজের কাজা আদায় করে নেওয়া।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/8561/article-details.html