প্রশ্ন
আমাদের এলাকার এক ব্যক্তি এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। ডাক্তার বলেছেন তার হাতে আর সময় বেশি নেই। উক্ত ব্যক্তি জীবনে অনেক খারাপ কাজ করেছে। এখন সে চাচ্ছে তওবা করতে। প্রশ্ন হল, মরণব্যাধিতে আক্রান্ত থাকা অবস্থায় উক্ত ব্যক্তির তওবা কবুল হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আল্লাহ তাআলা রহমান ও রহিম। তিনি বান্দাকে তাঁর রহমত থেকে নিরাশ হতে নিষেধ করেছেন। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
قُلْ يَاعِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
‘বল, হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজদের উপর বাড়াবাড়ি করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ [সূরা যুমার, আয়াত: ৫৩]
কাজেই বান্দাদের কাজ হল তওবা করে যাওয়া। নিরাশ না হওয়া। তাছাড়া হাদিস শরিফে বলা হয়েছে যে, মৃত্যুর সময় রূহ কণ্ঠাগত হওয়ার আগ পর্যন্ত তওবা করলে তওবা কবুল হয়ে থাকে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
إِنَّ اللَّهَ يَقْبَلُ تَوْبَةَ العَبْدِ مَا لَمْ يُغَرْغِرْ
‘রূহ কণ্ঠাগত না হওয়া (মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত) পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা বান্দার তওবা কবুল করেন।’ [সুনানে তিরমিযী, হাদিস: ৩৫৩৭]
সুতরাং উক্ত ব্যক্তির কর্তব্য হল তওবা চালিয়ে যাওয়া। খাঁটি মনে তওবা করতে পারলে আশা করা যায় যে, আল্লাহ তাআলা তার তওবা কবুল করবেন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/8341/article-details.html