প্রশ্ন
বর্তমানে বাজারে পুরুষদের জন্য নারীর বিশেষ অঙ্গের আকৃতির সেক্সটয় এবং নারীদের জন্য পুরুষদের বিশেষ অঙ্গের আকৃতির সেক্সটয় পাওয়া যায়। ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টি এই সেক্সটয়গুলো ব্যবহার করা বৈধ কি? যাদের তীব্র যৌন চাহিদা, তারা এগুলো ব্যবহার করতে পারবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শরিয়তের দৃষ্টিতে স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসী ব্যতীত যৌন চাহিদা পূরণ করা বৈধ নয়। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ (5) إِلَّا عَلَى أَزْوَاجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ (6) فَمَنِ ابْتَغَى وَرَاءَ ذَلِكَ فَأُولَئِكَ هُمُ الْعَادُونَ
‘যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংরক্ষণ করে। নিজেদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসী ব্যতীত, কারণ এ ক্ষেত্রে তারা নিন্দা থেকে মুক্ত। অতঃপর যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।’ [সূরা মুমিনুন, আয়াত: ৫-৭]
যাদের যৌন চাহিদা তীব্র, তারা হাদিসে বর্ণিত পদ্ধতি গ্রহণ করবে। এতে তাদের যৌন চাহিদা প্রশমিত হবে। হাদিস শরিফে এসেছে,
فَقَالَ عَبْدُ اللهِ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم شَبَابًا لاَ نَجِدُ شَيْئًا فَقَالَ لَنَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ مَنِ اسْتَطَاعَ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ فَإِنَّه“ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّه“ لَه“ وِجَاءٌ
‘আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসূল (সা.)-এর সঙ্গে আমরা কতক যুবক ছিলাম; আর আমাদের কোন কিছু ছিল না। এই হালতে আমাদেরকে রাসূল (সা.) বলেন, হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে, তারা যেন বিয়ে করে। কেননা, বিয়ে তার দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থান হিফাযত করে এবং যার বিয়ে করার সামর্থ্য নেই, সে যেন সওম পালন করে। কেননা, সওম তার যৌনতাকে দমন করবে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫০৬৬]
কাজেই যৌন চাহিদা প্রশমিত করার জন্য অবৈধ কোনো পন্থা গ্রহণ করা যাবে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/7634/article-details.html