তারাবিহ নামাজে রুকু-সেজদা দ্রুত আদায় করা যাবে কি

প্রশ্ন                                                                                                         

অনেক মসজিদে দেখা যায় তারাবিহ নামাজ খুব দ্রুত আদায় করে। সে হিসেবে রুকু-সেজদাও অনেক দ্রুত আদায় করে। আমি জানতে চাচ্ছি, এভাবে দ্রুত রুকু-সেজদা আদায় করলে কি নামাজ আদায় হবে?

উত্তর                                                                                                       

بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما

নামাজ যথাসম্ভব খুশু-খুযুর সাথে আদায় করা চাই। দ্রুত আদায় করলে খুশু-খুযু রক্ষা করা যায় না। তাই তারাবিহ নামাজেও খুব বেশি দ্রুত রুকু-সেজদা না করা চাই।

আর যদি এত বেশি দ্রুত রুকু-সেজদা আদায় করে যে, এক তাসবিহ পরিমাণও হয় না তাহলে সে নামাজ আদায় হবে না। হাদিস শরিফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَدَخَلَ رَجُلٌ فَصَلَّى فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَدَّ وَقَالَ ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ فَرَجَعَ يُصَلِّي كَمَا صَلَّى ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ ثَلَاثًا فَقَالَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أُحْسِنُ غَيْرَهُ فَعَلِّمْنِي فَقَالَ إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلَاةِ فَكَبِّرْ ثُمَّ اقْرَأْ مَا تَيَسَّرَ مَعَكَ مِنْ الْقُرْآنِ ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَعْتَدِلَ قَائِمًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ جَالِسًا وَافْعَلْ ذَلِكَ فِي صَلَاتِكَ كُلِّهَا

রাসূলুল্লাহ (সা.) মসজিদে তাশরীফ আনলেন, এ সময় অপর এক ব্যক্তিও মসজিদে এসে নামায আদায় করল। অতঃপর তাঁর নিকট এসে সালাম করল। তিনি উত্তর দিয়ে বললেন, যাও, নামায পড়। কেননা, তুমি নামায পড়নি। সে গিয়ে নামায পড়ে পুনরায় রাসূলুল্লাহ (সা.)কে সালাম করল। এবারও তিনি বললেন, যাও, নামায পড়। কেননা, তুমি নামায পড়নি। এভাবে তিনবার হল। এরপর লোকটি আরয করল, সেই সত্ত্বার কসম, যিনি আপনাকে হক দিয়ে প্রেরণ করেছেন। আমি এর চেয়ে উত্তম নামায পড়তে পারি না। আপনি আমাকে নামায শিক্ষা দিন। তখন তিনি ইরশাদ করলেন, যখন তুমি নামাযের জন্য দাঁড়াবে তখন তাকবীর বলবে। অতঃপর কুরআন মজীদ থেকে যা পার পড়বে। এরপর যখন রুকুতে যাবে, পূর্ণ শান্তভাবে রুকু আদায় করবে। তারপর রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়াবে। এরপর শান্তভাবে সিজদা করবে। তারপর সিজদা থেকে সোজা হয়ে বসবে। তুমি পুরো নামায এভাবে আদায় করবে। [সহিহ বুখারি ১/১০৯]

আলবিনায়া ২/২৬৫; মাআরিফুস সুনান ৩/১৮; আদ্দুররুল মুখতার ১/৪৬৪

আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।

و الله تعالى أعلم بالصواب

وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم

উত্তর দিচ্ছেন:

ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী

সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/7559/article-details.html