প্রশ্ন
হাদিস শরিফে পড়েছি, ইমাম সাহেব খুতবা দিতে বের হওয়ার পর কথা বলা যায় না। কিন্তু বর্তমানে তো খতীব সাহেবরা অনেক আগে বের হয়ে থাকেন এবং খুতবার পূর্বে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করে থাকেন। এখন কোন সময় থেকে কথা বলা বা নামাজ পড়া নিষিদ্ধ হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، وَابْنِ عُمَرَ ؛ أَنَّهُمَا كَانَا يَكْرَهَانِ الصَّلاَة وَالْكَلاَمَ بَعْدَ خُرُوجِ الإِمَام
‘ইবনে আব্বাস এবং ইবনে উমর (রা.) জুমার দিন ইমাম সাহেব বের হওয়ার পর নামাজ পড়া এবং কথা বলাকে অপছন্দ করতেন।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস: ৫২১৮]
ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, হাদিসের মধ্যে ইমামের বের হওয়ার দ্বারা উদ্দেশ্যে হল, খুতবার জন্য বের হওয়া। অর্থাৎ ইমাম সাহেব খুতবার জন্য বের হওয়ার পর নামাজ পড়া যাবে না এবং কথা বলা যাবে না।
তাই খুতবার পূর্বে বাংলা বয়ানের সময় নামাজ পড়া বা কথা বলা এই নিষিদ্ধতার আওতাভুক্ত হবে না।
অবশ্য যেহেতু তখনো দ্বীনি কথা চলতে থাকে তাই সে সময়ও কথাবার্তা না বলে গুরুত্বের সাথে তা শোনা উচিৎ।
আততা’লীকুল মুমাজ্জাদ ১/৬০৩; আলকওলুর রাজেহ ১/১৪৪; ফাতহুল কাদীর ২/৩৭; মাবসূত সারাখসী ২/২৯
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/7080/article-details.html