প্রশ্ন
আসমানী কিতাবসমূহের উপর কিভাবে ঈমান আনলে ঈমান যথাযথ হয়েছে বলে ধর্তব্য হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আসমানী কিতাবসমূহের উপর কিতাব আনার ক্ষেত্রে যদি কয়েকটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা যায়, তাহলে কিতাবসমূহের উপর ঈমান আনয়ন যথাযথ হয়েছে বলে ধর্তব্য হবে। যেমন,
১. সবগুলো আসমানী কিতাব আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত- এই বিশ্বাস অন্তরে পোষণ করা।
২. যে কিতাবগুলোর সুস্পষ্ট বিবরণ আল্লাহ তাআলা উল্লেখ করেছেন সেগুলোর উপর বিস্তারিতভাবে ঈমান আনা। যেমন, তাওরাত, ইঞ্জিল, যবুর, কুরআন, সহীফায়ে ইবরাহীম (আ.) ও সহীফায়ে মূসা (আ.)।
৩. এই কিতাবগুলোতে বর্ণিত যে সংবাদ বা ঘটনাবলী সহিহ সূত্রে প্রমাণিত আছে সেগুলোর উপর বিশ্বাস স্থাপন করা। যেমন, কুরআনে বর্ণিত ঘটনাবলী। পূর্ববর্তী আসমানী গ্রন্থে বর্ণিত যে সকল ঘটনা অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে সেগুলো।
৪. আল্লাহ তাআলা কুরআনকে সকল কিতাবের উপর ফয়সালাকারী ও সত্যায়নকারীরূপে প্রেরণ করেছেন- এই বিশ্বাস স্থাপন করা।
পাশাপাশি কুরআনকে সর্বাবস্থায় আঁকড়ে ধরে রাখা ও তার হক যথাযথভাবে আদায় করা।
সূরা আশ শুরা, আয়াত: ৫১; সূরা নিসা, আয়াত: ১৬৪; সূরা আশ শুরা, আয়াত: ১৫; সূরা মায়েদা, আয়াত: ৪৮
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/7015/article-details.html