প্রশ্ন
আমি একবার তাবলীগ জামাতে গিয়েছিলাম। দিনের শুরুতে আমি রোজা অবস্থায় ছিলাম। তাবলীগ জামাতে যাওয়ার পর একজন বলল: মুসাফিরের জন্য রোজা না রাখার সুযোগ আছে। তাই আমি রোজা ভেঙ্গে ফেলি। কিন্তু পরে জানতে পারলাম, আমার এই কাজ ঠিক হয়নি। এখন আমি জানতে চাচ্ছি, এর জন্য কি আমার কাযা-কাফফারা উভয়টি আদায় করতে হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কুরআন মাজিদে আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ
‘আর যে অসুস্থ থাকবে কিংবা সফরে থাকবে সে অন্য কোন সময় রোজা রাখতে পারবে।’ [সূরা বাকারা, আয়াত:১৮৫]
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ফুকাহায়ে কেরাম বলেন: মুসাফির ইচ্ছা করলে রোজা না রাখতে পারবে। কিন্তু যদি সে রোজা রেখে ফেলে তাহলে আর বিনা ওজরে সেই রোজাটি ভাঙ্গা যাবে না।
তাই আপনি রোজাটি ভেঙ্গে সঠিক কাজ করেননি। অবশ্য এ কারণে আপনার শুধু কাযা আদায় করতে হবে। কাফফারা আদায় করতে হবে না।
হাদিস শরিফ এসেছে, আনাস (রা.) বলেন:
‘কেউ রোজা রেখে সফরে বের হরে রোজা ভাঙ্গবে না। তবে যদি পিপাসার কারণে প্রাণনাশের আশঙ্কা হয় তাহলে রোজা ভাঙ্গতে পারবে। পরে তা কাযা করে নিবে।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা ৬/১৩২]
রদ্দুল মুহতার ২/৪২১; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৪০৩
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/6151/article-details.html