প্রশ্ন
আমার দাদা গত রোজায় ইন্তেকাল করেছেন। তিনি কিছু রোজা রাখতে পারেননি। প্রশ্ন হলো, সেই রোজাগুলোর ফিদয়া মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য দান করা যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
প্রশ্নোক্ত বর্ণনা অনুযায়ী আপনার দাদা যদি সেই রোজাগুলোর ফিদয়া দেওয়ার অসিয়ত করে গিয়ে থাকেন, তাহলে সেই ফিদয়ার প্রকৃত হকদার হল যাকাত গ্রহণের হকদারেরা। যাকাতগ্রহণের হকদারের তালিকা আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে উল্লেখ করে দিয়েছেন,
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ
‘নিশ্চয়ই ছাদাক্বাহ্ (যাকাত) হচ্ছে ফকীর ও মিসকীনদের জন্য এবং এতে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্য, আর যাদের অন্তর আকৃষ্ট করতে হয় তাদের জন্য। (তা বণ্টন করা যায়) দাস আযাদ করার ক্ষেত্রে, ঋণগ্রস্তদের মধ্যে, আল্লাহর রাস্তায় এবং মুসাফিরদের মধ্যে।’ [সূরা তাওবা, আয়াত: ৬০]
তাই তা মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য দান করা যাবে না।
তবে তিনি যদি অসিয়ত না করে গিয়ে থাকেন, কিন্তু তার ওয়ারিসদের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছায় তা আদায় করে দেওয়া হয়, তাহলে তা নফল সদকা হিসেবে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে ঐ টাকা মসজিদেও দান করা যাবে।
হিদায়া ১/২২২; আলবাহরুর রায়েক ২/২৮৪
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/5820/article-details.html