প্রশ্ন
আমার মামা খুবই গরিব। একবার তার এক মেয়ে অসুস্থ হলে তিনি মানত করেন যে, সে সুস্থ হলে গরিবদের খাবার খাওয়াবেন। কিছুদিন পর তার মেয়ে সুস্থ হয়। এখন আমার প্রশ্ন হলো, তার কয়জন গরিবকে খাবার খাওয়াতে হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
প্রশ্নোক্ত বর্ণনা অনুযায়ী আপনার মামা যেহেতু গরিবদের খাওয়ানোর মানত করেছেন তাই এক্ষেত্রে আপনার মামার জন্য ১০ জন গরিব মিসকিনদের খাবার খাওয়াতে হবে।
কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
لَا يُؤَاخِذُكُمُ اللَّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَكِنْ يُؤَاخِذُكُمْ بِمَا عَقَّدْتُمُ الْأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُوا أَيْمَانَكُمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
‘আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অর্থহীন কসমের ব্যাপারে, কিন্তু যে কসম তোমরা দৃঢ়ভাবে কর সে কসমের জন্য তোমাদেরকে পাকড়াও করেন। সুতরাং এর কাফফারা হল দশ জন মিসকীনকে খাবার দান করা, মধ্যম ধরনের খাবার, যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে খাইয়ে থাক, অথবা তাদের বস্ত্র দান, কিংবা একজন দাস-দাসী মুক্ত করা। অতঃপর যে সামর্থ্য রাখে না তবে তিন দিন সিয়াম পালন করা। এটা তোমাদের কসমের কাফ্ফারা, যদি তোমরা কসম কর, আর তোমরা তোমাদের কসম হেফাযত কর। এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন যাতে তোমরা শোকর আদায় কর।’ [সূরা মায়েদা, আয়াত: ৮৯]
হাদিস শরিফে এসেছে,
‘ইবনে আব্বাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত। রাসূল (সা.) বলেছেন: কেউ নাম উল্লেখ (নির্দিষ্ট) না করে মানত করলে তার কাফফারা শপথ ভঙ্গের কাফফারার অনুরূপ। কেউ গুনাহের কাজে মানত করলে তার কাফফারা শপথ ভঙ্গের কাফফারার অনুরূপ। কেউ যদি এমন মানত করে যা পূর্ণ করা তার সামর্থ্যের বাইরে, তার কাফফারা হবে শপথ ভঙ্গের কাফফারার অনুরূপ। কোনো ব্যক্তি যদি সামর্থ্য অনুযায়ী মানত করে তবে সে যেন তা পূর্ণ করে।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৩৩২২]
এক্ষেত্রে তাদের জন্য আলাদা খাবারের আয়োজন করার প্রয়োজন নেই, বরং নিজেরা যা খাবে তাই ১০ জন মিনকিনকে খাওয়াতে পারবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/5209/article-details.html