প্রশ্ন
ইসলামি শরিয়তে চোরের শাস্তি কী নির্ধারণ করা হয়েছে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইসলামি শরিয়তে চোরের শাস্তি হলো, ডান হাত কেটে দেওয়া। দ্বিতীয়বার চুরি করলে তার বাম পা কাটা হবে। এরপরও যদি চুরি করে তাহলে আর হাত পা কাটা হবে না, বরং বিচারক যে শাস্তি তার জন্য উপযুক্ত মনে করবেন সেটাই প্রয়োগ করবেন।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেন,
وَالسَّارِقُ وَالسَّارِقَةُ فَاقْطَعُوا أَيْدِيَهُمَا جَزَاءً بِمَا كَسَبَا نَكَالًا مِنَ اللَّهِ وَاللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
‘আর পুরুষ চোর ও নারী চোর তাদের উভয়ের হাত কেটে দাও তাদের অর্জনের প্রতিদান ও আল্লাহর পক্ষ থেকে শিক্ষণীয় আযাবস্বরূপ এবং আল্লাহ মহা পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ [সূরা মায়েদা, আয়াত: ৩৮]
রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
عَنْ عَائِشَةَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم تُقْطَعُ الْيَدُ فِي رُبُعِ دِينَارٍ فَصَاعِدًا
‘আয়িশে (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, দ্বীনারের চার ভাগের এক ভাগ বা এর বেশি বা ততোধিক চুরি করলে হাত কাটা যাবে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৭৮৯]
ফুকাহায়ে কেরাম বলেন:
لا يقطع السارق أصلاً بعد اليد اليمنى والرجل اليسرى، ولكنه يضمن المسروق، ويعزر، ويحبس حتى يتوب، بدليل ما روي عن سيدنا علي رضي الله عنه أنه أتي بسارق، فقطع يده، ثم أتي به ثانية وقد سرق، فقطع رجله، ثم أتي به ثالثة، فقال: «لا أقطعه، إن قطعت يده فبأي شيء يأكل، بأي شيء يتمسح، وإن قطعت رجله فبأي شيء يمشي، إني لأستحي من الله» فضربه بخشبة وحبسه
‘ডান ও বাম পা কাটার পর চোরের আর হাত পা কাটা হবে না। তবে সে জরিমানা দিবে, তাকে ভর্ৎসনা করা হবে এবং তওবা করা পর্যন্ত বন্দি করে রাখা হবে। দলীল হল, আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, তার কাছে এক চোরকে আনা হলে তিনি তার হাত কেটে দেন। দ্বিতীয়বার আবার চুরি করার কারণে তাকে নিয়ে আসা হলে তিনি তার পা কেটে দেন। পুনরায় তৃতীয়বার আনা হলে তিনি বলেন, আমি তার হাত কাটবো না। হাত কাটলে সে কি দ্বারা খাবে? কোন জিনিস দ্বারা মুছবে? আর যদি পা কাটি তাহলে সে কোন জিনিস দ্বারা হাঁটবে? আমি আল্লাহর ব্যাপারে লজ্জাবোধ করি। অতঃপর তিনি তাকে বেতদ্বারা প্রহার করলেন এবং তাকে বন্দি করে রাখলেন।’ [আল ফিকহুল ইসলামি ও আদিল্লাতুহু ৭/৫৪২৭; নাসবুর রায়া ৩/৩৭৪]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/4844/article-details.html