প্রশ্ন
আমার দাদা খুব অসুস্থ। পানি ব্যবহার করতে পারেন না। তার কি প্রতি ওয়াক্তের নামাজের জন্য তায়াম্মুম করতে হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কেউ যদি অসুস্থতার কারণে কিংবা অন্য কোনো কারণে পানি বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও তা ব্যবহার করতে না পারে তাহলে সেক্ষেত্রে তিনি তায়াম্মুম করতে পারবেন।
হাদিস শরিফে এসেছে,
‘জাবের (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমরা কোনো এক সফরে বের হলে আমাদের মধ্যকার একজনের মাথা পাথরের আঘাতে ফেটে যায়। ঐ অবস্থায় তার স্বপ্নদোষ হলে সে সাথীদের জিজ্ঞেস করল, তোমরা কি আমার জন্য তায়াম্মুমের সুযোগ গ্রহণের অনুমতি পাও? তারা বলল, যেহেতু তুমি পানি ব্যবহার করতে সক্ষম, তাই তোমাকে তায়াম্মুম করার সুযোগ দেয়া যায় না। অতএব সে গোসল করল। ফলে সে মৃত্যুবরণ করল। আমরা রাসূল (সা.)-এর নিকট আসলে তাকে বিষয়টি জানানো হলো। তিনি বললেন: এরা অন্যায়ভাবে তাকে হত্যা করেছে। আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন। তাদের যখন (সমাধান) জানা ছিল না, তারা কেন জিজ্ঞেস করে তা জেনে নিল না। কারণ অজ্ঞতার প্রতিষেধক হচ্ছে জিজ্ঞেস করা। ঐ লোকটির জন্য তায়াম্মুম করাই যথেষ্ট ছিল। আর যখমের স্থানে ব্যাণ্ডেজ করে তার উপর মাসাহ করে শরীরের অন্যান্য স্থান ধুয়ে ফেললেই যথেষ্ট হত।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৩৩৬]
তবে পানি ব্যবহারে অক্ষম ব্যক্তি যদি কোনো ওয়াক্তের জন্য তায়াম্মুম করেন, তাহলে তার তায়াম্মুম ততক্ষণ পর্যন্ত বাকি থাকবে যতক্ষণ অজু ভঙ্গের বা গোসল ফরজ হওয়ার কোনো কারণ পাওয়া না যাবে। প্রতি ওয়াক্তের জন্য তায়াম্মুম করা আবশ্যক নয়।
ফাতাওয়াহিন্দিয়া১/৩০; আদ্দুররুলমুখতার১/২৩২
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/4840/article-details.html