প্রশ্ন
শুনেছি, জুমার দিন সূরা কাহফ পড়লে অনেক ফযিলত লাভ করা যায়। আমি জানতে চাই, কী কী ফযিলত লাভ করা যায়?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
সূরা কাহফের অনেক ফযিলত রয়েছে।
হাদিস শরিফে এসেছে,
আবু সাঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন-
مَن قرأَ سورةَ الكَهْفِ ليلةَ الجمعةِ، أضاءَ لَهُ منَ النُّورِ فيما بينَهُ وبينَ البَيتِ العَتيقِ
‘যে ব্যক্তি জুমার দিনে সুরা কাহফ পড়বে তার এবং বায়তুল আতীক তথা ক্বাবা পর্যন্ত আলোকোজ্জ্বল হবে।’ [সুনানে দারেমী, হাদিস: ৩৪০৭]
আরেক হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন-
مَن قَرَأَ سورةَ الكَهفِ يومَ الجُمُعةِ أضاءَ له من النورِ ما بَينَ الجُمُعتينِ
‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহফ পড়বে তার জন্য এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত আলোকোজ্জ্বল হবে।’ [মুসতাদারেক হাকিম ২/৩৯৯]
অন্য একটি হাদিসে এসেছে-
আবু দারদা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন-
مَنْ حَفِظَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ سُورَةِ الْكَهْف عُصِمَ مِنَ الدَّجَّالِ
‘যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম দিক থেকে দশটি আয়াত মুখস্থ করবে, সে দজ্জালের (ফিতনা) থেকে পরিত্রাণ পাবে।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮০৯]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/4797/article-details.html