প্রশ্ন
আমাদের এলাকার এক ব্যক্তি বলে, ভালো আলেম বা পীরের হাতে বাইআত হওয়া জরুরি। অন্যথায় গুনাহগার হতে হবে। তার এই বক্তব্য কি সঠিক? এভাবে কোনো ভালো আলেম বা পীরের হাতে বাইআত হওয়া কি সুন্নত সম্মত?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কোনো ভালো আলেম বা পীরের হাতে বাইআত হওয়ার অর্থই হলো তার কাছে আত্মশুদ্ধির অঙ্গীকার করা। রাসূল (সা.) সাহাবায়ে কেরাম থেকে এ ধরণের বাইআত গ্রহণ করতেন। হাদিস দ্বারা তা প্রমাণিত।
তবে এটি আবশ্যক নয় বরং মুস্তাহাব পর্যায়ের। জরুরি হলো নিজের ঈমান-আমলকে পরিশুদ্ধ করা। চাই, তা যে কোনো পন্থায়ই হোক না কেন।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَوْفُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم سَبْعَةً أَوْ ثَمَانِيَةً أَوْ تِسْعَةً فَقَالَ ” أَلَا تُبَايِعُونَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ” . وَكُنَّا حَدِيثَ عَهْدٍ بِبَيْعَةٍ قُلْنَا قَدْ بَايَعْنَاكَ حَتَّى قَالَهَا ثَلَاثًا فَبَسَطْنَا أَيْدِيَنَا فَبَايَعْنَاهُ فَقَالَ قَائِلٌ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّا قَدْ بَايَعْنَاكَ فَعَلَامَ نُبَايِعُكَ قَالَ ” أَنْ تَعْبُدُوا اللهَ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَتُصَلُّوا الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ وَتَسْمَعُوا وَتُطِيعُوا ” . وَأَسَرَّ كَلِمَةً خُفْيَةً قَالَ ” وَلَا تَسْأَلُوا النَّاسَ شَيْئًا ” . قَالَ فَلَقَدْ كَانَ بَعْضُ أُولَئِكَ النَّفَرِ يَسْقُطُ سَوْطُهُ فَمَا يَسْأَلُ أَحَدًا أَنْ يُنَاوِلَهُ إِيَّاهُ
‘আওফ ইবনে মালিক (রা.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা সাতজন অথবা আটজন অথবা নয়জন রাসূল (সা.)-এর নিকট ছিলাম। তিনি বললেন: তোমরা কি আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর নিকট বাইআত গ্রহণ করবে না? অথচ আমরা কয়েকদিন আগেই বাইআত নিয়েছি, তাই আমরা বললাম, আমরা তো আপনার কাছে বাইআত হয়েছি। এমনকি তিনি এ কথাটি তিনবার বললেন। অতঃপর আমরা আমাদের হাত প্রসারিত করে বাইআত গ্রহণ করলাম। একজন বললেন: হে আল্লাহর রাসূল! আমরা তো বাইআত করেছি, তাহলে এখন আবার কিসের উপর বাইআত হবো? তিনি বললেন: তোমরা এক আল্লাহর ইবাদাত করবে, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে এবং আমীরের কথা শুনবে ও তার আনুগত্য করবে। তিনি সংক্ষেপে নিচু স্বরে বললেন: মানুষের কাছে কিছু সওয়াল করবে না। বর্ণনাকারী বলেন: এদের কেউই (সফরে) একটি ছড়ি নীচে পড়ে গেলেও অন্যকে তা তুলে দিতে অনুরোধ করেননি।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১০৪৩; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১৬৪২]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/4705/article-details.html