প্রশ্ন
অনেককে দেখা যায় কবরে মোমবাতি জ্বালাতে। এ ব্যাপারে ইসলাম কি বলে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কবরে মোমবাতি জ্বালানো বিজাতীয় সংস্কৃতি। ইসলামের সাথে এর ন্যূনতম সম্পর্ক নেই। পাশাপাশি এ ধরনের কাজ মানুষকে শিরকের দিকে পরিচালিত করে। এ কারণেই রাসূল (সা.) কবরে বাতি জ্বালাতে নিষেধ করার পাশাপাশি যারা কবরে বাতি জ্বালায় তাদের প্রতি লানতও করেছেন। তাই, এ জাতীয় কাজ থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেছেন,
وَمَا يُؤْمِنُ أَكْثَرُهُمْ بِاللَّهِ إِلَّا وَهُمْ مُشْرِكُونَ
‘তাদের অধিকাংশ আল্লাহকে বিশ্বাস করে, কিন্তু তাঁর সাথে শরীক করে।’ [সূরা ইউসুফ, আয়াত: ১০৬]
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَائِرَاتِ الْقُبُورِ، وَالْمُتَّخِذِينَ عَلَيْهَا الْمَسَاجِدَ وَالسُّرُجَ
‘ইবনে আব্বাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) কবর যিয়ারাতকারী মহিলাদের অভিসম্পাত করেছেন। যারা কবরের উপর মাসজিদ নির্মাণ করে এবং কবরে বাতি জ্বালায় তাদেরকেও অভিসম্পাত করেছেন।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৩২৩৬; সুনানে তিরমিযি, হাদিস: ৩২০; সুনানে নাসায়ী, হাদিস: ২১৮১; মিশকাত পৃ. ৭১]
এই হাদিসের ব্যাখ্যায় মোল্লা আলী আল কারী বলেন,
النهي عن اتخاذ السرج لما فيه من تضييع المال، لأنه لا نفع لأحد من السراج ولأنها من آثار جهنم، وإما للاحتراز عن تعظيم القبور كالنهي عن اتخاذ القبور مساجد
‘কবরে বাতি জ্বালানোর নিষেধ হয়ত এজন্য যে, তা সম্পদ নষ্ট করা। কারণ এ বাতি কারো কোনো কাজে আসে না এবং এজন্যও যে, আগুন তো জাহান্নামের নিদর্শন (সুতরাং একে কবর থেকে দূরে রাখা চাই)। অথবা এ নিষেধ কবরের তাযীম থেকে রক্ষা করার জন্য। যেমনটা কবরকে সিজদাগাহ বানানোর নিষিদ্ধতাও একারণেই।’ [হাশিয়া মিশকাত]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/4361/article-details.html