প্রশ্ন
এক হাদিসে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, أَلاَ إِنَّ الْقُوَّةَ الرَّمْىُ অর্থাৎ জেনে রাখো শক্তি হচ্ছে তীরন্দাযী। আমার জানার বিষয় হল, রাসূল (সা.) কেন একথা বলেছেন? এর দ্বারা কী উদ্দেশ্য?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
হাদিসটি হল,
عَنْ أَبِي عَلِيٍّ، ثُمَامَةَ بْنِ شُفَىٍّ أَنَّهُ سَمِعَ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ وَأَعِدُّوا لَهُمْ مَا اسْتَطَعْتُمْ مِنْ قُوَّةٍ أَلاَ إِنَّ الْقُوَّةَ الرَّمْىُ أَلاَ إِنَّ الْقُوَّةَ الرَّمْىُ أَلاَ إِنَّ الْقُوَّةَ الرَّمْىُ
‘উকবা ইবনু আমির (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) কে মিম্বারের উপর আসীন অবস্থায় আমি বলতে শুনেছি, আল্লাহ তায়ালার বানী, “এবং তোমরা তাদের মোকাবেলায় শক্তি সঞ্চয় করে রাখো।” জেনে রাখো, শক্তি হচ্ছে তীরন্দাযী, জেনে রাখো শক্তি হচ্ছে তীরন্দাযী, জেনে রাখো শক্তি হচ্ছে তীরন্দাযী।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮৭৯৩]
হাদিসের ব্যাখ্যা হল, রাসূল (সা.) কুরআনের উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য এই বক্তব্য দিয়েছেন। সেই যুগে যেহেতু তীর অন্যতম যুদ্ধাস্ত্র ছিল, তাই রাসূল (সা.) গুরুত্বসহকারে তা শিক্ষার জন্য বলেছেন। এই নির্দেশ প্রত্যেক যুগের সকল যুদ্ধাস্ত্রের জন্যই প্রযোজ্য হবে। মোটকথা, এখানে উদ্দেশ্য হল কাফেরদের মোকাবেলায় শক্তি অর্জন করা। চাই তা যেকোনো মাধ্যমেই হোক না কোনো।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে বলেন-
وَأَعِدُّواْ لَهُم مَّا اسْتَطَعْتُم مِّن قُوَّةٍ وَمِن رِّبَاطِ الْخَيْلِ تُرْهِبُونَ بِهِ عَدْوَّ اللّهِ وَعَدُوَّكُمْ وَآخَرِينَ مِن دُونِهِمْ لاَ تَعْلَمُونَهُمُ اللّهُ يَعْلَمُهُمْ وَمَا تُنفِقُواْ مِن شَيْءٍ فِي سَبِيلِ اللّهِ يُوَفَّ إِلَيْكُمْ وَأَنتُمْ لاَ تُظْلَمُونَ
‘আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন প্রভাব পড়ে আল্লাহর শত্রুদের উপর এবং তোমাদের শত্রুদের উপর, আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপরও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন।’ [সূরা তাওবা, আয়াত: ৬০]
[শরহুন নাবাবি ১৩/৬৪; ফাতহুল মুন’ইম শরহু সাহিহ মুসলিম ৭/৫৯১; বজলুল মাজহুদ ৯/৭০]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/4104/article-details.html