প্রশ্ন
রব্বুল মাল যদি মুদারিবকে ব্যবসার জন্য পুঁজি দিয়ে বলে আমি প্রতি মাসে আপনাকে মুনাফা হিসেবে দুই হাজার টাকা দিব। এরপর মুদারিবকে কোনো কোনো মাসে নির্ধারিত টাকা আবার কোনো কোনো মাসে তার থেকেও কিছু বেশি দেয় তাহলে উক্ত লেনদেনটি বৈধ হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
মুদারাবা কারবারে মুদারিব বা রাব্বুল মাল যে কারো জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হলে উক্ত চুক্তি ফাসেদ ও অবৈধ গণ্য হয়।
সে হিসেবে উল্লিখিত চুক্তিটি বৈধ নয়। এরূপ কারবারে মুদারিব যে মুনাফা অর্জন করবে তার পুরোটারই মালিক হবে রাব্বুল মাল। আর মুদারিব রাব্বুল মালের কাছ থেকে ন্যায়সঙ্গত পারিশ্রমিক পাবে।
মুদারাবা লেনদেনের সঠিক পদ্ধতি হলো, রাব্বুল মাল মুদারিবকে ব্যবসার উদ্দেশ্যে টাকা দিয়ে বলবে যে, এ টাকার লভ্যাংশের শতকরা এত পার্সেন্ট আমাকে দিবেন আর বাকিটা আপনি নিবেন। আর লোকসান হলে রাব্বুল মালই বহন করবে।
এমতাবস্থায় চুক্তি মোতাবেক মুদারিব অনুমান করে রাব্বুল মালকে মাসিক বা বাৎসরিক মুনাফা প্রদান করলে তা বৈধ হবে। তবে শর্ত থাকবে যে, চূড়ান্ত লভ্যাংশ হিসেবের সময় রাব্বুল মালের পূর্বে গৃহীত অংশ কর্তন করে দিতে হবে।
বাদায়েউস সানায়ে ৬/৮৫; ফাতাওয়া আলমগিরী ৪/২৮৭
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/3750/article-details.html