প্রশ্ন
কোনো মানুষ আখেরাতের আজাব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কি মুহাম্মাদ (সা.) এর উপর ঈমান আনা জরুরি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন। প্রত্যেক নবী যাদের কাছে প্রেরিত হয়েছেন তাদের জন্য ঐ নবীর উপর ঈমান আনা জরুরি। পরকালে মুক্তি লাভের জন্য তাদেরকে ঐ নবীর উপর অবশ্যই ঈমান আনতে হবে।
যেহেতু মুহাম্মাদ (সা.) হলেন সর্বশেষ নবী সেহেতু তার উম্মত তথা তিনি প্রেরিত হওয়ার পর থেকে কেয়ামত পর্যন্ত সমস্ত মানুষের তার উপর ঈমান আনতে হবে। তার উপর ঈমান আনা ছাড়া কেউ পরকালে মুক্তি পাবে না।
হাদিস শরিফে এসেছে,
جابر بن عبد الله عن النبي صلى الله عليه و سلم أن عمر أتاه فقال : إنا نسمع أحاديث من اليهود تعجبنا أفتى أن نكتب بعضها ؟ فقال : أمتهوكون أنتم كما تهوكت اليهود و النصارى ؟ لقد جئتكم بها بيضاء نقية و لو كان موسى حيا ما وسعه إلا اتباعي
জাবের (রা.) বলেন, উমর (রা.) নবী করীম (সা.)-এর খেদমতে উপস্থিত হলেন এবং আরজ করলেন, আমরা ইহুদীদের থেকে কিছু কথা শুনে থাকি, যা আমাদের কাছে ভাল লাগে ৷ আমরা কি সেগুলো কিছু লিখে রাখব ? নবী করীম (সা.) বললেন, ‘তোমরা কি নিজেদের দ্বীন সম্পর্কে সন্দেহে পতিত হয়েছ, যেমন হয়েছিল ইহুদী এবং নাছারাদের বেলায়? অথচ আমি একটি উজ্জল দ্বীন নিয়ে তোমাদের মধ্যে প্রেরিত হয়েছি ৷ যদি আজ মুসা আ.ও জীবিত থাকতেন তাহলে তার জন্য আমার অনুসরণ ব্যতীত অন্য কোনো উপায় থাকত না ৷’ [শুআবুল ঈমান,বায়হাকী, হাদিস: ১৭৬]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/3478/article-details.html