প্রশ্ন
আখেরাতের এক দিন দুনিয়ার কতদিনের সমান হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আখেরাতের এক দিন দুনিয়ার কত দিনের সমান হবে তা বিভিন্ন আয়াত ও হাদিসে বিভিন্ন রকম বর্ণিত হয়েছে।
وَيَسْتَعْجِلُونَكَ بِالْعَذَابِ وَلَن يُخْلِفَ اللَّهُ وَعْدَهُ ۚ وَإِنَّ يَوْمًا عِندَ رَبِّكَ كَأَلْفِ سَنَةٍ مِّمَّا تَعُدُّونَ
‘তারা তোমাকে [মুহাম্মাদ (সা.)] আযাব ত্বরান্বিত করতে বলে। অথচ আল্লাহ কখনও তাঁর ওয়াদা ভঙ্গ করেন না। তোমার প্রভুর কাছে একদিন তোমাদের গণনার হাজার বছরের সমান।’ [সূরা হজ, আয়াত: ৪৭]
يُدَبِّرُ الْأَمْرَ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ ثُمَّ يَعْرُجُ إِلَيْهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ أَلْفَ سَنَةٍ مِّمَّا تَعُدُّونَ
‘তিনি আকাশ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত সমস্ত কর্ম পরিচালনা করেন, অতঃপর তা তাঁর কাছে পৌঁছবে এমন এক দিনে, যার পরিমাণ তোমাদের গণনায় হাজার বছরের সমান।’ [সূরা সাজদা, আয়াত: ৫]
تَعْرُجُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ إِلَيْهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ
‘ফেরেশতাগণ এবং রূহ তাঁর(আল্লাহর) দিকে ঊর্ধ্বগামী হয় এমন এক দিনে, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর।’ [সূরা মাআরিজ, আয়াত: ৪]
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে
যে দিন সমস্ত মানুষ দাঁড়াবে সৃষ্টিকূলের রবের সামনে। (-সূরা মুতাফফিফীন:৬) -এ আয়াতের তাফসিরে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তা হবে এমন এক দিনে যার পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছর, তারা তাদের কান পর্যন্ত ঘামে ডুবে থাকবে।’ [মুসনাদে আহমাদ ২/১১২]
হাদিসে এসেছে, সাহাবায়ে কিরাম রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে এই দিনের দৈর্ঘ্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন: ‘আমার প্রাণ যে সত্তার হাতে, তাঁর শপথ করে বলছি এই দিনটি মুমিনের জন্য একটি ফরয নামাজ আদায়ের সময়ের চেয়েও কম হবে।’ [মুসনাদ আহমাদ ৩/৭৫]
অন্য হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘এই দিনটি মুমিনদের জন্য যোহর ও আসরের মধ্যবর্তী সময়ের মত হবে।’ [মুসতাদরাকে হাকিম ১/১৫৮]
এ সকল আয়াত ও হাদিসের ব্যাখ্যায় মুফাসসির ও মুহাদ্দিসগণ বলেন, কেয়ামতের দিন একেক মানুষের বিবেচনায় একেক রকম মনে হবে। মুমিনদের জন্য তা সামান্য সময় মনে হয়। আর অপরাধীদের জন্য কারও নিকট এক হাজার বছর, কারও নিকট পঞ্চাশ হাজার বছরও মনে হবে।
ফাতহুল কাদির, সূরা আস সাজদাহ, আয়াত: ৫; তাবারী, সূরা আস সাজদাহ আয়াত: ৫
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/3470/article-details.html