প্রশ্ন
কোনো ব্যক্তির স্ত্রী ঠিকমত নামাজ-রোজা, পর্দা পুশিদা করে না এবং বিভিন্ন সময়ে সে আল্লাহ সম্পর্কে অশোভন ও অশালীন মন্তব্য করে। স্বামী তার স্ত্রীকে বহুবার সতর্ক করেছে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। এক পর্যায়ে সে নিম্নোক্ত জঘন্য মন্তব্য ও উক্তি করে বসেছে ‘আমি দীর্ঘদিন রোগে ভুগছি আল্লাহ আমাকে ভালো করেন না। আল্লাহ কি অন্ধ বধির? আল্লাহ জালিম, তিনি সুবিচার করেন না। আমি আর আল্লাহর ইবাদত করব না। আল্লাহর ইবাদত করার চেয়ে শয়তানের ইবাদত করাই উত্তম। আমি আর নামাজ পড়বো না। আল্লাহর কপালে ঝাড়ু মারি। আল্লাহর কোনো ক্ষমতা নাই। ক্ষমতা থাকলে আমার রোগ ভালো করে দেন না কেন?’
এখন প্রশ্ন হলো, উপরোক্ত অশালীন ও শরীয়ত বিরোধী বক্তব্যের পর উক্ত মহিলার ঈমান থাকবে কি? উল্লিখিত অবস্থার প্রেক্ষিতে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কের ব্যাপারে শরীয়তের ফায়সালা কী? উক্ত মহিলাকে তার স্বামীর জন্য তালাক প্রদান করা কি জরুরি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আল্লাহ কেন আমাকে ভালো করেন না। আল্লাহ অন্ধ, বধির। আল্লাহ জালেম। তার ইবাদত করার চেয়ে শয়তানের ইবাদত করা উত্তম। আল্লাহর কোনো ক্ষমতা নাই। ইত্যাদি বাক্য উচ্চারণ করলে কোনো ব্যক্তি মুসলমান থাকে না।
শরীয়তের দৃষ্টিতে ইসলাম বহির্ভূত হয়ে মুরতাদ বলে গণ্য হবে এবং স্বামী-স্ত্রীর বৈবাহিক বন্ধন ছিন্ন হয়ে যাবে।
পুনরায় ঘর-সংসার করতে হলে উক্ত মহিলাকে অবশ্যই নতুন করে মুসলমান হতে হবে এবং পুনরায় নতুন ভাবে বিবাহ করে নিতে হবে।
ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/২৫৮ খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৮৩
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/3434/article-details.html