প্রশ্ন
আমার নানা দুই দিন পূর্বে মারা গেছে। আমার বাবা তার জন্য মৃত্যুর চতুর্থ দিনে কুলখানী করতে চাচ্ছে। এবং প্রতি বছর আমার নানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে আসছে। আমি জানতে চাচ্ছি, ইসলামে কুলখানী এবং মৃত্যুবার্ষিকী পালন করার বিধান কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইসলামে পূর্ণাঙ্গ জীবন-ব্যবস্থা রয়েছে। কারও মৃত্যুতে শোক পালন করার নির্দিষ্ট নিয়ম ইসলামে রয়েছে।
কেউ মারা গেলে ইসলামে তিন দিনের বেশি শোক পালনের অনুমতি নেই। শুধু কোনো মেয়ের স্বামী মারা গেলে তার স্ত্রীর জন্য চার মাস দশ দিন পর্যন্ত শোক পালন করার অনুমতি রয়েছে।
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন
لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ تُحِدُّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلَاثٍ إِلَّا عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا
আল্লাহ এবং শেষ দিবসের প্রতি ঈমান আনে এমন কোনো মহিলার জন্য বৈধ নয় কারও মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা। তবে শুধু স্বামী ব্যতিক্রম। স্বামীর মৃত্যুতে স্ত্রী চার মাস দশ দিন শোক পালন করতে পারবে। [সহিহ বুখারি, হাদিস: ১২৮১]
কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে কুলখানী করা কিংবা মৃত্যুবার্ষিকী পালন করার কোনো বিধান ইসলমে নেই।
হ্যাঁ, মৃত ব্যক্তির জন্য যে কোনো সময় দোয়া করা, ইসালে সওয়াব করার বিধান ইসলামে রয়েছে। তাই ইসলামের নির্ধারিত পন্থায় শোক পালন না করে মনগড়া পন্থায় শোক পালন করা কিছুতেই উচিৎ নয়।
সুতরাং আপনার উচিৎ, আপনার বাবাকে সঠিকভাবে বিষয়টি বুঝানো।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/3373/article-details.html