প্রশ্ন
আমি একটি বই পড়ছিলাম। বইটির লেখকের নাম হলো আবদুল্লাহ। তিনি আমাদের প্রতিবেশী। বইয়ের মধ্যে লেখা ছিল হযরত ঈসা (আ.) এর পিতা ছিল। এবং তিনি স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন। তাকে আসমানে উঠানো হয়নি। সুতরাং পুনরাগমনের কোনো প্রশ্নই নেই। প্রশ্ন হলো, এ ধরনের আকীদা পোষণকারী ব্যক্তির কি ঈমান আছে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
যে ব্যক্তি প্রশ্নে বর্ণিত উক্তিগুলো লিখেছে তার ঈমান নিয়ে সংশয় রয়েছে। কোনো মুসলমান এমন কথা লিখতে পারে না। কারণ কুরআন মাজিদে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-
‘প্রকৃতপক্ষে তারা তাকে হত্যাও করেনি এবং শূলেও চড়ায়নি বরং ব্যাপারটিকে তাদের জন্য সন্দিগ্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর যারা এ ব্যাপারে মতবিরোধ করেছে তারাও আসলে সন্দেহের মধ্যে অবস্থান করছে। তাদের কাছে এ সম্পর্কিত কোনো জ্ঞান নেই, আছে নিছক আন্দাজ-অনুমানের অন্ধ অনুসৃতি। নিঃসন্দেহে তারা ঈসা মসীহকে হত্যা করেনি। বরং আল্লাহ তাআলা তাকে উঠিয়ে নিয়েছেন।’ [সূরা-নিসা, আয়াত-১৫৭]
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন,
‘মারয়াম বললেন, কীভাবে আমার সন্তান হবে, আমাকে তো কোনো পুরুষ স্পর্শ করেনি আর আমি ব্যভিচারিণীও নই।’ [সূরা মারায়াম, আয়াত:২০]
হাদিস শরিফে এসেছে,
রাসূল (সা.) বলেন, ‘যার হাতে আমার প্রাণ তার শপথ, অবশ্যই তোমাদের মাঝে ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসেবে অবতরণ করবেন।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৪৪৮]
তাই কোনো মুসলমান এ ধরনের লেখক বা এ ধরনের আকীদা পোষণকারীর সাথে কোনো প্রকার ইসলামী সম্পর্ক রাখতে পারে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/3300/article-details.html