প্রশ্ন
যিলহজ্ব মাসে নখ–চুল না কাটার বিধানটি কি শুধু হাজীদের জন্য না অন্য সবার জন্য?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
এ দিনগুলোতে যদি হাজীগণ ইহরাম অবস্থায় থাকেন তাহলে তাদের জন্য নখ-চুল কাটা নিষিদ্ধ।
আর যারা হজ্বে যাননি তবে কুরবানী করবেন তাদের জন্য এ দিনগুলোতে নখ-চুল না কাটা মুস্তাহাব।
হাদিস শরিফে এসেছে
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنّ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ قَالَ: إِذَا رَأَيْتُمْ هِلَالَ ذِي الْحِجّةِ، وَأَرَادَ أَحَدُكُمْ أَنْ يُضَحِّيَ، فَلْيُمْسِكْ عَنْشَعْرِهِ وَأَظْفَارِهِ.
‘উম্মে সালামা রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম (সা.) বলেছেন, যখন যিলহজ্বের দশক শুরু হবে তখন তোমাদের মধ্যে যে কুরবানী করবে সে যেন তার চুল নখ না কাটে।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৯৭৭; জামে তিরমিযি, হাদিস: ১৫২৩]
আর যারা কুরবানী করবে না তাদের জন্যও অনেক ফকীহ নখ-চুল না কাটাকে উত্তম বলেছেন।
কারণ হাদিস শরিফে এসেছে,
অন্য হাদিসে এসেছে,
‘নবী কারিম (সা.) বলেছেন, আমাকে কুরবানীর দিবসে ঈদ (পালনের) আদেশ করা হয়েছে, যা আল্লাহ এ উম্মতের জন্য নির্ধারণ করেছেন। এক সাহাবী আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি আমার কাছে শুধু একটি মানীহা থাকে (অর্থাৎ অন্যের থেকে নেওয়া দুগ্ধ দানকারী উটনী) আমি কি তা কুরবানী করব? নবী কারীম (সা.) বললেন, না, তবে তুমি চুল, নখ ও মোঁচ কাটবে এবং নাভীর নিচের পশম পরিষ্কার করবে। এটাই আল্লাহর দরবারে তোমার পূর্ণ কুরবানী বলে গণ্য হবে।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২৭৮৯; সুনানে নাসায়ী, হাদিস: ৪৩৬৫]
আরেক বর্ণনায় এসেছে,
মুতামির ইবনে সুলাইমান আততাইমী বলেন, ‘আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি, ইবনে সীরীন (রহ.) যিলহজ্বের দশকে চুল কাটা অপছন্দ করতেন। এমনকি এই দশকে ছোট বাচ্চাদের মাথা মুণ্ডন করাকেও অপছন্দ করতেন।’ [আল মুহাল্লা, ইবনে হাযম ৬/২৮]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/?p=3023&preview=true