প্রশ্ন
আমার উপর এ বছর হজ্ব ফরজ। কিন্তু আমি চাচ্ছি, আরও দুই তিন বছর পর হজ্বে যেতে। প্রশ্ন হলো, আমার জন্য কি দেরি করার সুযোগ আছে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
হজ্ব ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ রোকন।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেন-
وَ لِلهِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الْبَیْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ اِلَیْهِ سَبِیْلًا وَ مَنْ كَفَرَ فَاِنَّ اللهَ غَنِیٌّ عَنِ الْعٰلمِیْنَ.
‘মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ গৃহের হজ্ব করা তার জন্য অবশ্যকর্তব্য। আর যে এই নির্দেশ পালন করতে অস্বীকার করবে তার জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহ দুনিয়াবাসীদের প্রতি সামান্যও মুখাপেক্ষী নন।’ [সূরা আলে ইমরান (৩) : ৯৭]
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন-
تَعَجّلُوا إِلَى الْحَجِّ يَعْنِي الْفَرِيضَةَ فَإِنّ أَحَدَكُمْ لَا يَدْرِي مَا يَعْرِضُ لَهُ.
‘তোমরা দ্রুততর সময়ের মধ্যে ফরয হজ্ব আদায় কর। কেননা তোমাদের কেউই একথা জানে না যে, আগামীতে তার ভাগ্যে কী আছে।’ [মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ২৮৬৭]
ওমর (রা.) বলেন-
من أطاق الحج فلم يحج، فسواء عليه يهوديا مات أو نصرانيا
‘যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হজ্ব করল না তার ইহুদী হয়ে মৃত্যুবরণ করা আর খ্রিস্টান হয়ে মৃত্যুবরণ করা সমান কথা।’ [তাফসীরে ইবনে কাসীর ২/৮৪ (সূরা আলে ইমরান ৯৭ নং আয়াতের অধীনে]
তাই যাদের উপর হজ্ব ফরজ তাদের দ্রুততম সময়ে হজ্ব পালন করে নেওয়া জরুরি। এ কাজে বিলম্ব করা কিছুতেই উচিৎ নয়। কারণ কার মৃত্যু কখন চলে আসে কেউ বলতে পারে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/?p=3018&preview=true