প্রশ্ন
ইফরাদ হজ্বকারীর জন্য কি কুরবানী করা জরুরি? এক ব্যক্তি বলেছেন, এমন ব্যক্তির উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। তার কথাটি কি সঠিক?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
উক্ত ব্যক্তির কথা সঠিক নয়। ইফরাদ হজ্বকারীর উপর হজ্বের কুরবানী করা ওয়াজিব নয়। তবে তিনি যদি কুরবানী করেন তাহলে উত্তম হবে।
সায়ীদ ইবনুল মুসাইয়িব (রহ.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হজ্বের মাসে অর্থাৎ শাওয়াল, যিলকদ, যিলহজ্বে উমরা করল, অতপর হজ্ব সম্পন্ন করা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করল সে তামাত্তুকারী। তার কর্তব্য যা কিছু সহজলভ্য তা দিয়ে কুরবানী করা। অথবা কুরবানীর পশু না পাওয়া গেলে রোযা রাখা। আর যে ব্যক্তি হজ্বের মাসে উমরা করার পর তার পরিবারের কাছে ফিরে এল তারপর ঐ বছরই হজ্ব করল সে তামাত্তুকারী নয়।’ [মুয়াত্তা মুহাম্মাদ, পৃ. ২১৯]
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হজ্ব করল এবং কুরবানী করল সে একটি হজ্ব ও একটি উমরা করে নিজ পরিবারে প্রত্যাবর্তন করল।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস: ১৪৪০৬]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/2171/article-details.html