প্রশ্ন
আমি ভার্সিটিতে পড়াশোনা করি। পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করি। টিউশনি থেকে প্রাপ্ত টাকার একটা অংশ আমি ব্যাংকে জমা করি। এভাবে ৫০ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা হয়েছে। গত তিন মাস আগে আমার এক বন্ধুর একটি বিপদে সে টাকাগুলো তাকে ঋণ দিয়েছি। বর্তমানে আমার কাছে অতিরিক্ত কোনো সম্পদ নেই। আমি একজন হুজুরের কাছে শুনেছিলাম যে, কেউ যদি ৪০ হাজার টাকা বা সে পরিমাণ সম্পদের মালিক হয় তাহলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব। তার কাছে যদি নগদ টাকা না থাকে তাহলে কিছু সম্পদ বিক্রি করে বা ঋণ নিয়ে হলেও কুরবানী দিতে হবে। এখন আমার প্রশ্ন হল, এ অবস্থায় আমার উপর কি কুরবানী ওয়াজিব হয়েছে? দ্রুত মাসআলাটির সমাধান জানালে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার কর্তব্য হলো আপনার বন্ধুর কাছ থেকে এ পরিমাণ টাকা ফেরত চাওয়া যা দিয়ে আপনি একটি কুরবানী আদায় করতে পারবেন। যদি তিনি তা দিতে পারেন তাহলে তা দিয়ে কুরবানী করা ওয়াজিব হবে। আর যদি তিনি তা দিতে না পারেন আর আপনার কাছে কোনো জায়গা থেকে কুরবানীর সমপরিমাণ টাকা হস্তগতও না হয় তাহলে কুরবানীর শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। শেষ পর্যন্ত যদি কুরবানী দেওয়ার মত কোনো সম্পদ আপনার হাতে না থাকে তাহলে আপনাকে ঋণ নিয়ে কুরবানী করতে হবে না। কেননা এক্ষেত্রে আপনার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। খতীব সাহেব যে মাসআলা বলেছেন তা প্রয়োজন অতিরিক্ত অন্য সম্পদ থাকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০৭; বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪৬৪; ফাতাওয়া বাযযাযিয়াহ ৬/২৮৬; রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৬
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র:https://www.drkhalilurrahman.com/?p=29045&preview=true