প্রশ্ন
আমি একজন ব্যবসায়ী, আমার একটি সমিতি আছে। আমার সমিতির ৫০ জন সদস্য আছে। প্রত্যেক সদস্যের কাছ থেকে আমি প্রতি সপ্তাহে দুই কিস্তিতে ১০০০ টাকা নেই। (যার ফলে প্রতি সপ্তাহে আমার কাছে ৫০,০০০/- টাকা জমা হয়) এবং প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৫০ সদস্যের নাম লটারী করি, যার নাম লটারীতে ওঠে তাকে একসাথে ৫০,০০০/-টাকা দিয়ে দিই। তার পরের সপ্তাহে যে ব্যক্তি টাকা পেয়েছে তার নাম বাদ দিয়ে বাকি ৪৯ জনের নাম লটারী করি। যার নাম লটারীতে ওঠে তাকে ৫০,০০/- টাকা দিয়ে দিই। এইভাবে ৫০ সপ্তাহে ৫০ জনই আগে বা পরে ৫০,০০০/- টাকা পেতে থাকে এবং যারা টাকা পেয়েছে তারাও ৫০ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে এক হাজার করে টাকা দিতে থাকে। এই সমিতি করার উদ্দেশ্য হল, যারা ছোট ব্যবসায়ী তারা একসাথে ৫০,০০০/- টাকা পেয়ে যাতে ব্যবসায় উন্নতি করতে পারে।
উল্লেখ্য, তাদের টাকা আমার কাছে তিন-চার দিন থাকে, তখন আমি ঐ টাকা দ্বারা ব্যবসা করি এবং সকল সদস্য আমার ব্যবসা করার বিষয়টি জানে এবং এ ব্যাপারে তারা আমাকে কিছু বলে না। এখন আমার জানার বিষয় হল, আমার সমিতির কার্যক্রম শরীয়তসম্মত কি না? শরীয়তসম্মত না হলে কী কারণে শরীয়তসম্মত না- অনুগ্রহ করে জানাবেন। ইনশাআল্লাহ, আমি সেই কারণ দূর করব।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
আপনাদের সমিতির প্রশ্নোক্ত কার্যক্রমটি জায়েয। এক্ষেত্রে মূলত সকলের সম্মতিতে একজনকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে এবং ঋণের কারণে অতিরিক্ত প্রদানের শর্ত করা হয় না। সুতরাং তা জায়েয; শরীয়তের দৃষ্টিতে এতে সমস্যা নেই। তবে টাকাগুলো যে দু-চার দিন আপনার নিকট থাকে, ঐসময় যদি তা নিজ কাজে লাগাতে চান তাহলে সদস্যদের অনুমতি নিতে হবে। বিনা অনুমতিতে তা খরচ করা যাবে না। আর একথাও মনে রাখতে হবে যে, যদি এভাবে নিজ কাজে লাগানোর পর টাকার কোনো ক্ষতি হয় তাহলে এর দায়ভার সম্পূর্ণরূপে আপনাকে বহন করতে হবে।
-মাজাল্লাতুল বুহুসিল ইসলামিয়্যা ২৭/৩৪৯-৩৫০; হাশিয়াতুল ক্বালয়ূবী আলা শরহিল মিনহাজ ২/৩২১; ফিকহুন নাওয়াযিল ৩/৩২৫
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র:https://www.drkhalilurrahman.com/?p=28773&preview=true