প্রশ্ন
আমার এক পরিচিত ব্যক্তির নগদ টাকার প্রয়োজন হওয়ায় আমি তার মালিকানাধীন একটি ফ্লোর ছয় মাস মেয়াদের জন্য ভাড়া গ্রহণ করি এবং পুনরায় তার কাছেই ভাড়া দিই। ভাড়া নেওয়া ও দেওয়ার জন্য ভিন্ন ভিন্ন দুটি চুক্তিপত্র করা হয়। প্রথম চুক্তিপত্রে ফ্লোরটি দুই লক্ষ টাকার বিনিময়ে তার কাছ থেকে ভাড়া গ্রহণ করি এবং দুই লক্ষ টাকা ভাড়া নগদ পরিশোধ করি। দ্বিতীয় চুক্তিপত্রে ফ্লোরটি তার কাছে দুই লক্ষত্রিশ হাজার টাকার বিনিময়ে পুনরায় ভাড়া প্রদান করি। তিনি প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা কিস্তিতে ছয় মাসে মোট ত্রিশ হাজার টাকা পরিশোধ করেন এবং ভাড়ার অবশিষ্ট দুই লক্ষ টাকা ছয় মাস পর পরিশোধ করেন। জানতে চাচ্ছি, আমাদের এ লেনদেন সহিহ হয়েছে কি না এবং এ কারবারের মাধ্যমে প্রাপ্ত অতিরিক্ত ত্রিশ হাজার টাকা আমার জন্য নেওয়া বৈধ হয়েছে কি না? জানিয়ে উপকৃত করবেন।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
কোনো জিনিস ভাড়া নিয়ে তা ভাড়াদাতার কাছেই পুনরায় ভাড়া দেওয়া বৈধ নয়। তাই প্রশ্নোক্ত চুক্তি থেকে ভাড়ার নামে প্রাপ্ত অতিরিক্ত ত্রিশ হাজার টাকা সুদ বলে গণ্য হবে। এ টাকা আপনার জন্য নেওয়া জায়েয হয়নি। তা ঐ ঋণগ্রহীতাকে ফেরত দিয়ে দিবেন।
উল্লেখ্য, প্রশ্নোক্ত কারবারটি সুদী কারবারেরই একটি অপকৌশল। একথা ¯পষ্ট যে, এক্ষেত্রে বাহ্যত ভাড়া দেওয়া-নেওয়ার কথা বলা হলেও বাস্তবে ভাড়াদাতা ও গ্রহীতা কারোরই ভাড়া দেওয়া-নেওয়া উদ্দেশ্য থাকে না; বরং উভয়েরই উদ্দেশ্য থাকে ঋণ আদান-প্রদান করা। আর ঋণদাতার উদ্দেশ্য থাকে ঋণের বিনিময়ে অতিরিক্ত অর্থ ভোগ করা। তাই মুসলমানদের এ ধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকা দরকার।
-আদ্দুররুল মুখতার ৬/৯১; দুরারুল হুক্কাম শরহু মাজাল্লাতিল আহকাম ১/৬৭২; শরহুল মাজাল্লাহ, আতাসী ২/৬৮৪
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র:https://www.drkhalilurrahman.com/?p=27732&preview=true