প্রশ্ন
রমযানের তিন মাস আগে আমার একটি সন্তানের জন্ম হয়। তো রমযান মাস আসার পরে আমি রোযা রেখেই দুধ পান করাচ্ছিলাম। কিন্তু রোযা রেখে দুধ পান করানো আমার জন্য খুব কষ্ট হচ্ছিল। শারীরিকভাবে খুব দূর্বল হয়ে পড়ি। আবার বুকে দুধও কম আসছিল। আমার সন্তান ঠিকমত দুধ পাচ্ছিল না। তারও খুব কষ্ট হচ্ছিল। তাই আমি আর বাকি রোযাগুলো রাখি নি। হযরতের কাছে আমার জানার বিষয় হলো, এই কারণে কি আমার রোযা না রাখা ঠিক হয়েছে? আর ছুটে যাওয়া রোযাগুলোর ক্ষেত্রে আমার কী করণীয়?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
দুগ্ধদানকারিনী মহিলা রোযা রেখে সন্তানকে দুধ পান করানোর কারণে যদি তার খুব বেশি কষ্ট হয়, অথবা রোযা রাখার কারণে বুকে দুধ এত কম আসে যে, সন্তানের খাবার পূর্ণ হয় না এবং সন্তান অন্য খাবারেও অভ্যস্ত নয় বিধায় তার শারীরিক ক্ষতির প্রবল আশংকা হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত মহিলার রোযা না রাখার অনুমতি আছে। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন-
إِنَّ اللهَ تَعَالَى وَضَعَ عَنِ الْمُسَافِرِ الصّوْمَ، وَشَطْرَ الصّلاَةِ، وَعَنِ الحَامِلِ أَوِ الْمُرْضِعِ الصّوْمَ أَوِ الصِّيَامَ
নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা মুসাফিরের ওপর হতে রোযা (ঐ সময়ের জন্য) এবং অর্ধেক নামায রহিত করেছেন। আর গর্ভবতী এবং দুগ্ধদানকারিনী মহিলার ওপর হতে রোযাকে (ঐ সময়ের জন্য) রহিত করেছেন। (জামে তিরমিযী, হাদিস: ৭১৫)
-কিতাবুল আছল; ২/১৭২ ; আলবাহরুর রায়েক ২/২৮৫; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪২২; বাদায়েউস সানায়ে ২/২৫০; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬৫
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র:https://www.drkhalilurrahman.com/26795/article-details.html