প্রশ্ন
আমি একটি সরকারি অফিসে চাকরি করি। আমি সবসময় জামাতের সাথে নামায পড়ার চেষ্টা করি। তবে মাঝে মধ্যে অফিসের কাজের ব্যস্ততার কারণে যোহরের নামায একা পড়তে হয়।তখন অফিসেই নামায আদায় করি। আর অফিসে যেখানে দাঁড়িয়ে নামায পড়ি তার বরাবর ডান দিকে বড় দুটি (মানুষের) ছবি ঝুলানো আছে। পাশে ছবি নিয়ে নামায পড়ার কারণে কি আমার নামাযের কোনো সমস্যা হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
যে ঘরে প্রাণীর ছবি ঝুলানো থাকে তাতে নামায পড়া মাকরূহ। তাই ঐ ঘরে আপনার নামায পড়াটা মাকরূহ হয়েছে। তবে তা আদায় হয়ে গেছে। পুনরায় তা পড়তে হবে না। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন-
لاَ تُصَلِّ فِي بَيْتٍ فِيهِ تَمَاثِيلُ.
যে ঘরে ছবি আছে তাতে নামায পড়ো না। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা: ৪৬১৬)
সুতরাং আপনার কর্তব্য হল, নামাযের জন্য ছবিমুক্ত কোনো জায়গা নির্বাচন করা অথবা অন্তত নামাযের সময় উক্ত ছবিগুলো ঢেকে রাখা।
প্রকাশ থাকে যে, প্রাণীর ছবি অঙ্কন করা, ছবি প্রদর্শন করা, ঘর-বাড়িতে ছবি টাঙিয়ে রাখা সবই নাজায়েয ও গুনাহের কাজ। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন-
إِنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَذَابًا عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ القِيَامَةِ المُصَوِّرُونَ.
কিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি হবে তাদের, যারা ছবি বানায়। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৯৫০)
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন-
لاَ تَدْخُلُ المَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلاَ تَصَاوِيرُ.
ফেরেশতা ঐ ঘরে প্রবেশ করে না, যে ঘরে কুকুর থাকে এবং ঐ ঘরেও না, যে ঘরে ছবি থাকে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৯৪৯)
-আলমাবসূত, সারাখসী ১/২১১; আলজামেউস সাগীর, পৃ. ৮৬; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৫৮; খিযানাতুল আকমাল ১/১০৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১০৭
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র:https://www.drkhalilurrahman.com/26593/article-details.html