প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, প্রস্রাব বা পায়খানা করার পর বা নাপাকি ধোয়ার সময় যদি নাপাকির ছিঁটা গায়ে লাগে তাহলে কি শরীর নাপাক হয়ে যাবে ?
শরীরের কোন অংশে যদি নাপাকি লাগে তাহলে গোসল করার সময় সাধারণত গায়ে পানি ঢেলে গোসল করলেই হবে নাকি ঐ জায়গাটা আলাদা করে ৩ বার পরিষ্কার করে গোসল করতে হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
প্রথমত শরীয়তের বিধান হলো নাপাক কাপড় ধোয়ার সময় ছিটে আসা পানি নাপাক নয়।তবে স্পষ্ট নাপাকির চিন্হ বুঝা গেলে অবশ্যই নাপাক হবে।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي الرَّجُلِ يَغْتَسِلُ مِنَ الْجَنَابَةِ فَيَنْضَحُ فِي إِنَائِهِ مِنْ غُسْلِهِ، فَقَالَ: لَا بَأْسَ بِهِ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) ফরয গোসলের সময় পাত্রে পানির ছিটা পড়া সম্পর্কে বলেন, এতে কোনো সমস্যা নেই।
-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৭৮৯; কিতাবুল আছল ১/২০; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৮; মাবসূত, সারাখসী ১/৪৬; বাদায়েউস সানায়ে ১/২১১; আলবাহরুর রায়েক ১/৭০
অপবিত্র কাপড় তিনবার ধৌত করার পর পবিত্র হয়ে যাবে। ধৌত করার সময় ব্যবহৃত পানির ছিটা উক্ত কাপড়ে লাগলে কোনো অসুবিধা নেই। (আল মুহিতুল বুরহানি : ১/২২৩, হিন্দিয়া : ১/৪২)
তবে ইহার থেকে সতর্কতামূলক বেঁচে থাকা উচিত। কেননা হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ: ” إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا: فَكَانَ لَا يَسْتَنْزِهُ مِنَ البَوْلِ – قَالَ وَكِيعٌ: مِنْ بَوْلِهِ – وَأَمَّا الْآخَرُ: فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূল (সা.) দু’টি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম হচ্ছিলেন। বললেন, এ দু’টি কবরে আযাব হচ্ছে। কোন বড় কারণে আজাব হচ্ছে না। একজনের কবরে আজাব হচ্ছে সে পেশাব থেকে ভাল করে ইস্তিঞ্জা করতো না। আরেকজন চোগোলখুরী করতো। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৯৮০, সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৩৬১)
দ্বিতীয়ত ওই জায়াগা পুরো শরীর ধৌত করার সময় ভালো করে ধুয়ে নিলেই হবে। তবে প্রথমে নাপাকি লাগা জায়গাগুলো ধৌত করে নেওয়া উত্তম, বিশেষ করে যদি শরীরে কোথাও বীর্য লেগে থাকে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র:https://www.drkhalilurrahman.com/26287/article-details.html