প্রশ্ন
আমি মসজিদের ইমাম সাহেব। আমার মসজিদে আমি ইতিকাফে বসেছি। জনৈক ব্যক্তি মৃত্যুর আগে অসিয়ত করেছিল যে, তার জানাযার নামায যেন আমি পড়াই। ২৬ রমযানে তার মৃত্যু হয়। ফলে তার অসিয়ত রক্ষার্থে আমি তার জানাযা পড়ানোর জন্য মসজিদ থেকে বের হয়ে জানাযা পড়িয়ে সাথে সাথে মসজিদে চলে আসি। জানতে চাচ্ছি, উক্ত কারণে ইতিকাফের কোনো ক্ষতি হয়েছে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইতেকাফকারী জানাযার নামাজ পড়ার জন্য মসজিদের বাহিরে যেতে পারবে না। যদি সে জানাযার নামাজ পড়ার জন্য মসজিদের বাহিরে যায়, তাহলে তার ইতেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عن عائشة، أنها قالت: ” السنة على المعتكف: أن لا يعود مريضا، ولا يشهد جنازة، ولا يمس امرأة، ولا يباشرها، ولا يخرج لحاجة، إلا لما لا بد منه
‘আয়েশা (রা.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইতিকাফকারীর জন্য সুন্নত হলো: সে কোনো রোগী দেখতে যাবে না, জানাযায় অংশগ্রহণ করবে না, স্ত্রীকে স্পর্শ করবে না, তার সাথে সহবাস করবে না এবং অধিক প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবে না।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২৪৭৩]
আরেক হাদিসে এসেছে,
عن سعيد بن المسيب، وعن سفيان، عن ابن جريج، عن عطاء، قالا: المعتكف لا يشهد جنازة، ولا يعود مريضا
‘আতা (রহ.) ও সাইদ ইবনে মুসাইয়্যিব (রহ.) বলেন, ইতেকাফকারী জানাযার নামাজে উপস্থিত হতে পারবে না এবং কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যেতে পারবে না।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস: ৯৬৪৩]
আপনি যেহেতু জানাযার জন্য বের হয়েছেন তাই আপনার সুন্নত ইতিকাফ ভেঙ্গে গিয়েছে। বাকি দিনগুলো নফল হিসেবে গণ্য হয়েছে। আর ভেঙ্গে যাওয়া দিনটির জন্য আপনি পরবর্তীতে রোযাসহ একদিন ইতিকাফ কাযা করে নেবেন।
আসসুনানুল কুবরা, বাইহাকী, হাদিস ৮৫৯৪; কিতাবুল আসল ২/১৮৩; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৪৪৫
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/25771/article-details.html