প্রশ্ন
জনৈক ব্যক্তি মৃত্যুর আগে অসিয়ত করে গিয়েছে যে, তার জানাযার নামায বড় ছেলে পড়াবে। তার বড় ছেলে বিদেশ থাকে। তার মৃত্যুর পর বড় ছেলের দেশে আসার অপেক্ষায় জানাযার নামায বিলম্ব করা হয়। জানতে চাচ্ছি, উক্ত কারণে জানাযায় বিলম্ব করা কি ঠিক হয়েছে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কারো মৃত্যু হলে যত দ্রুত সম্ভব জানাযা পড়িয়ে কবরস্থ করে দেওয়া উচিৎ। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنِ الْحُصَيْنِ بْنِ وَحْوَحٍ أَنَّ طَلْحَةَ بْنَ الْبَرَاءِ مَرِضَ، فَأَتَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعُودُهُ فَقَالَ: إِنِّي لَا أَرَى طَلْحَةَ إِلَّا قَدْ حَدَثَ فِيهِ الْمَوْتُ فَآذِنُونِي بِهِ، وَعَجِّلُوا فَإِنَّهُ لَا يَنْبَغِي لِجِيفَةِ مُسْلِمٍ أَنْ تُحْبَسَ بَيْنَ ظَهْرَانَيْ أَهْلِهِ
‘আল-হুসাইন ইবনু ওয়াহওয়া (রা.) সূত্রে বর্ণিত। তালহা ইবনুল বারাআ (রা.) অসুস্থ হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দেখতে এসে বললেন, আমি দেখতে পাচ্ছি তালহার মৃত্যু আসন্ন। কাজেই তোমরা আমাকে তার খবর জানাবে এবং তার দাফন-কাফনের ব্যবস্থা দ্রুত করবে। কেননা কোনো মুসলিমের লাশ তার পরিবারের মধ্যে আটকে রাখা ঠিক নয়।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৩১৫৯]
তাছাড়া কারও সম্পর্কে জানাযা পড়ানোর অসিয়ত করে গেলে তা পূরণ করা জরুরি নয়। স্বাভাবিকভাবে যিনি জানাযা পড়ানোর অধিক হকদার তিনিই জানাযা পড়াবেন।
সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত কারণে জানাযা বিলম্ব করা উচিৎ হয়নি।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/25057/article-details.html