প্রশ্ন
ডিভাইস কসমেটিক খতনা কি বৈধ?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
খতনা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। সকল নবীগণ খতনা করেছিলেন। তাই এটিকে শিআরে ইসলাম তথা ইসলামের একটি মৌলিক নিদর্শন হিসেবে গণ্য করা হয়।
হাদিস শরিফে এসেছে,
الْفِطْرَةُ خَمْسٌ: الْخِتَانُ، وَالِاسْتِحْدَادُ، وَنَتْفُ الْإِبْطِ، وَقَصُّ الشَّارِبِ، وَتَقْلِيمُ الْأَظْفَارِ
‘রাসূল(সা.) বলেছেন: ‘ফিতরাত (তথা নবীগণের সুন্নত) পাঁচটি : খতনা করা, নাভীর নিচের পশম পরিষ্কার করা, বগলের পশম উঠানো, মোঁচ ছোট করা এবং নখ কাটা।’[সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬২৯৭]
আরেক হাদিসে এসেছে,
اخْتَتَنَ إِبْرَاهِيمُ بَعْدَ ثَمَانِينَ سَنَةً
‘আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন: ইবরাহীম খলীলুর রহমান (আ.) ৮০ বছর বয়সে তার খতনা করেছিলেন।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬২৯৮]
ডিভাইস কসমেটিক খতনা খতনা আধুনিক একটি পদ্ধতি। কাজেই তা বৈধ।
ফাতহুল বারী ১১/৯২, ৯/৫০৩, ১০/৩৫৫, ৪/৪১৩; রদ্দুল মুহতার ৬/৭৫১-৭৫২, ৬/২৮২; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ২/১৩২; আলবাহরুর রায়েক ৭/৯৫-৯৬
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/24001/article-details.html