প্রশ্ন
জনৈক মুয়াজ্জিন সাহেব ফজরের আযানে আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম বলেননি। পরবর্তীতে আর আযানও দেননি। ঐভাবেই ফজরের নামায পড়া হয়েছে। জানতে চাচ্ছি, সেদিনের ফজরের নামায কি হয়েছিল?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
মুয়াজ্জিন সাহেব আযানে ভুল করার পর যদি আযান চলা অবস্থায়ই স্মরণ হয় তাহলে যে শব্দে ভুল হয়েছে সে শব্দ পুনরায় বলে আযানের বাকি শব্দগুলো বলতে হবে।
আর যদি আযান শেষ হওয়ার পর কারো সাথে কথা বলার আগে স্মরণ হয় তাহলে যে শব্দে ভুল হয়েছে সে শব্দ থেকে শেষ পর্যন্ত পুনরায় আযান দিতে হবে।
কিন্তু যদি আযান শেষ করার পর কথা বলে ফেলে তাহলে পুরো আযান পুনরায় দিতে হবে।
উক্ত মুয়াজ্জিন সাহেব যেহেতু কোনোটিই করেননি তাই তার সেদিনের আযান শুদ্ধ হয়নি। তবে নামায শুদ্ধ হওয়ার জন্য আযান জরুরি নয়। বরং আযান ছাড়াও নামায শুদ্ধ হয়ে যায়। হাদিস শরিফে এসেছে, আসওয়াদ ও আলকামা (রহ.) থেকে বর্ণিত তারা বলেন-
أَتَيْنَا عَبْدَ اللهِ بْنَ مَسْعُودٍ فِي دَارِه، فَقَالَ: أَصَلّى هؤُلَاءِ خَلْفَكُمْ؟ فَقُلنَا: لَا، قَالَ: فَقُومُوا فَصَلّوا، فَلَمْ يَأمُرْنَا بِأَذَانٍ وَلَا إِقَامَةٍ.
‘আমরা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর ঘরে এলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের পেছনের লোকেরা কি নামাজ পড়েছে? আমরা বললাম, না। তিনি বললেন, (তাহলে) তোমরা দাঁড়াও, নামায পড়। তখন তিনি আমাদের আজান ও ইকামতের নির্দেশ দেননি।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৩৪]
কাজেই আপনাদের সেদিনের ফজরের নামায শুদ্ধ হয়েছিল।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/23826/article-details.html