প্রশ্ন
আমি হস্তমৈথুনে অভ্যস্ত। কুরআন ছুঁয়ে কসম করেছি যে, আর হস্তমৈথুন করব না। কিন্তু তারপরও হস্তমৈথুন করেছি। জানতে চাচ্ছি, এখন আমার করণীয় কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কুরআন হাদিসের আলোকে হস্তমৈথুন করা হারাম। কুরআন মাজিদে এসেছে,
‘আর যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে হেফাযত করে। নিজেদের স্ত্রী বা মালিকানাভুক্ত দাসীগণ ছাড়া; এক্ষেত্রে (স্ত্রী ও দাসীর ক্ষেত্রে) অবশ্যই তারা নিন্দিত নয়। যারা এর বাইরে কিছু কামনা করবে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।’ [সূরা মুমিনুন, আয়াত: ৫-৬]
এই আয়াত থেকে বুঝা যায়, স্ত্রী বা দাসী ছাড়া অন্য কোনোভাবে বীর্যপাত করালে সে গুনাহগার হবে।
হাদিস শরিফে এসেছে,
‘আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূল(সা.)-র সাথে আমরা এমন কিছু যুবকে ছিলাম যাদের কিছু ছিল না। তখন রাসূল (সা.) বললেন: হে যুবকেরা! তোমাদের মধ্যকার যার বিয়ের খরচ বহন ও শারীরিক সামর্থ্য রয়েছে সে যেন বিয়ে করে ফেলে। কেননা, তা তার দৃষ্টি নিম্নগামী রাখতে ও লজ্জাস্থানকে হেফাজত করায় সহায়ক হয়। আর যে বিবাহের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন রোজা রাখে। কারণ তা যৌন উত্তেজনা প্রশমনকারী।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫০৬৬]
কাজেই হস্তমৈথুন থেকে বিরত থাকা অবশ্য কর্তব্য। যে সকল কারণ হস্তমৈথুনে উদ্বুদ্ধকারী তা থেকে দূরে থাকতে হবে।
যেহেতু আপনি কুরআন ছুঁয়ে কসম করেছেন তাই আপনার কসম সংঘটিত হয়েছিল। কাজেই কসম ভঙ্গের কারণে কসমের কাফফারা দিয়ে দিতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/22630/article-details.html