প্রশ্ন
আমার চাচা করোনার আগে হজ্বে যাওয়ার জন্য টাকা জমা দিয়েছিল। কিন্তু করোনার সময় হজ্বে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ২০২২ সালেও হজ্বের লিষ্টে তার নাম আসেনি। সে উক্ত টাকা এজেন্সি থেকে উঠাতে ইচ্ছুক নয়। কারণ তিনি হজ্বে যাবেন বলেই তা জমা দিয়েছিলেন। এ বছর তিনি হজ্বে যাচ্ছেন। প্রশ্ন উক্ত জমা টাকার বিগত বছরগুলোর যাকাত আদায় করতে হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
স্বর্ণ, রূপা, ব্যবসায়িক মাল, টাকা-পয়সা ও ক্ষেত্র বিশেষ কিছু কিছু পশু যাকাতযোগ্য সম্পদরূপে বিবেচ্য হয়। এছাড়া অন্যকোনো বস্তু বা সম্পদ যাকাতযোগ্য হিসেবে বিবেচ্য হয় না। হাদিস শরিফে এসেছে, আলী (রা.) বলেন,
لَيْسَ فِي أَقَلَّ مِنْ عِشْرِينَ دِينَارًا شَيْءٌ ، وَفِي عِشْرِينَ دِينَارًا نِصْفُ دِينَارٍ ، وَفِي أَرْبَعِينَ دِينَارًا دِينَارٌ ، فَمَا زَادَ فَبِالْحِسَابِ
‘বিশ দীনারের নিচে কোনো যাকাত অপরিহার্য হয় না। বিশ দীনারে অর্ধ দীনার এবং চল্লিশ দীনারে এক দীনার অপরিহার্য হবে। এর বেশি যা থাকবে তা এই হিসাবেই অপরিহার্য হবে।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস: ৯৯৬৬]
তবে উক্ত টাকা আপনার চাচা যেহেতু হজ্বের জন্যই প্রদান করেছেন তাই উক্ত টাকা বিগত বছরগুলোর কোনো যাকাত প্রদান করতে হবে না।
আলবাহরুর রায়েক ২/২০৩
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/21695/article-details.html