প্রশ্ন
কী পরিমাণ সম্পদ থাকলে আমার উপর যাকাত ওয়াজিব হবে ?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلم
যাকাত ওয়াজিব হওয়ার কয়েক ধরনের নেসাব রয়েছে।
ক) স্বর্ণের নেসাব: ২০ মিসকাল। আধুনিক হিসেবে ৮৫ গ্রাম কিংবা ৭.৫ ভরি বা তোলা।
খ) রূপার নেসাব: ৫ উকিয়া বা ২০০ দিরহাম। আধুনিক হিসেবে ৫৯৫ গ্রাম কিংবা ৫২.৫ ভরি বা তোলা।
গ) নগদ টাকা এবং স্থাবর সম্পদের নেসাব: উপরোক্ত স্বর্ণ কিংবা রূপার নেসাবের বাজার মূল্যের সমপরিমাণ। যাকাতদাতা এখানে ইচ্ছে করলে নেসাব হিসেবে স্বর্ণকেও গ্রহণ করতে পারে আবার রূপাকেও গ্রহণ করতে পারে। তবে গরিবের উপকার বিবেচনায় রূপার নেসাব গ্রহণ করাই অধিক উত্তম।
নেসাবের পরিমাণ
রৌপ্য, নগদ অর্থ, ব্যবসায়ী পণ্য, শিল্পের কাঁচামাল ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে নিসাব সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্য। যার বর্তমান বাজার দর প্রায় ৭৮,০০০/- (আটাত্তর হাজার) টাকা। এই পরিমাণ সম্পদ থাকলে এসব ক্ষেত্রে বৎসর শেষে যে পরিমাণ সম্পদ থাকবে সেই সম্পূর্ণ সম্পদের উপর যাকাত দিতে হবে।
স্বর্ণের ও স্বর্ণালংকারের ক্ষেত্রে যাকাতের নিসাব হচ্ছে ৭.৫ তোলা স্বর্ণ।
যদি রৌপ্য, স্বর্ণ, অলংকার ও অন্যান্য মূল্যবান পাথর একত্রে থাকে তবে হিসাব হচ্ছে ৫২.৫ তোলা রূপার মূল্য।
ফসলের হিসাব হচ্ছে পাঁচ “ওয়াসক” প্রায় ২৭ মণ ফসল।
গরু-মহিষ, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদিরও নির্দিষ্ট নেসাব আছে।
নেসাব পরিমাণ কিংবা তার বেশি সম্পদ যদি কোনো ব্যক্তির কাছে থাকে এবং তার ১ বছর পূর্তি হয়, তাহলে তাকে উক্ত সম্পদের ৪০ ভাগের ১ ভাগ (২.৫%) যাকাত আদায় করতে হবে।
সুনানে আবু দাউদ ১/২২১; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদিস ৭০৭৭, ৭০৮২, সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৪৪৭; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৯৭৯
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/1463/article-details.html