প্রশ্ন
ফজরের পর ঘুমানো কি মাকরূহ?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
রাসূল (সা.) ফজরের পরের সময়টিকে বরকতপূর্ণ মনে করতেন। আর কেউ এই সময় ঘুমালে সে সেই বরকত থেকে বঞ্চিত হয়ে যাবে। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ صَخْرٍ الْغَامِدِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: اللَّهُمَّ بَارِكْ لِأُمَّتِي فِي بُكُورِهَا
‘সাখর আলগামিদী (রা.) সূত্রে বর্ণিত। রাসূল (সা.) বলেন, হে আল্লাহ! আপনি আমার উম্মতকে প্রভাতের বরকত দান করুন।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২৬০৬]
এ কারণে উলামায়ে কেরাম এ সময় ঘুমানোকে মাকরূহ বলেছেন। হাদিস শরিফে এসেছে,
كَانَ الزُّبَيْرُ يَنْهَى بَنِيهِ عَنِ التَّصَبُّحِ، قَالَ: وَقَالَ عُرْوَةُ: إِنِّي لَأَسْمَعُ بِالرَّجُلِ يَتَصَبَّحُ فَأَزْهَدُ فِيهِ
‘যুবাইর (রা.) তার সন্তানদেরকে ভোরবেলা ঘুমাতে নিষেধ করতেন। উরওয়া (রহ.) বলেন, আমি যদি কারো ব্যাপারে শুনি যে, সে ভোরবেলা ঘুমায় তাহলে তার ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলি।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদিস: ২৫৪৪২]
কাজেই ফজরের পর ঘুমানো থেকে বিরত থাকবে। তবে কারো যদি অসুস্থতা বা অন্য কোনো ওযর থাকে তাহলে ফজরের পর ঘুমানোতে কোনো সমস্যা নেই।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/20927/article-details.html