প্রশ্ন
সামনে আমার ফাইনাল পরীক্ষা। পরীক্ষার কারণে আমার মা আমাকে তারাবি পড়তে নিষেধ করেন। জানতে চাচ্ছি, আমি কি তারাবি পড়ব, নাকি তার কথা শুনে বিরত থাকব?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
তারাবির নামায সুন্নতে মুয়াক্কাদা। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন,
شَهْرٌ كَتَبَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ صِيَامَهُ، وَسَنَنْتُ لَكُمْ قِيَامَهُ، فَمَنْ صَامَهُ وَقَامَهُ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا خَرَجَ مِنْ ذُنُوبِهِ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ
‘আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর রমযান মাসের রোযা ফরয করেছেন এবং আমি তোমাদের জন্য তারাবির নামায কে সুন্নাত করে দিয়েছি। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে রমযান মাসে রোযা পালন করে এবং তারাবির নামায আদায় করে, সে স্বীয় গুনাহসমূহ থেকে সে দিনের মত পবিত্র হয়ে যায় যে দিন তার মাতা তাকে প্রসব করেছিল।’ [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৩২৮]
ইমাম নববি (রহ.) বলেন,
‘তারাবির নামায। এ ব্যাপারে সকল উলামায়ে কেরাম একমত।’ [আল মাজমু ৪/৩১]
সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামায ওযর ছাড়া তরক করা গুনাহ। আর গুনাহের কাজে পিতা মাতার আদেশ মান্য করা আবশ্যক নয়। বরং পালন না করাই আবশ্যক। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন,
فَإِنْ أُمِرَ بِمَعْصِيَةٍ فَلَا سَمْعَ وَلَا طَاعَةَ
‘যদি আল্লাহর অবাধ্যতার নির্দেশ তাকে দেয়া হয় তাহলে তা শুনবেও না এবং মানবেও না।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৮৩৯]
কাজেই আপনার মা তারাবি না পড়ার যে নির্দেশ দিয়েছেন তা মান্য করা যাবে না। বরং আপনি তারাবি পড়বেন। তবে বিষয়টি আপনার মাকে নম্রতার সাথে বুঝাবেন যে, তারাবির নামায সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যা ওযর ছাড়া বর্জন করা যায় না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/20829/article-details.html