প্রশ্ন
হজ্ব কত প্রকার ও কী কী? বিস্তারিত জানতে চাই।
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
হজ্ব তিন প্রকার:
১। কিরান হজ্ব – حج قران
২। তামাত্তু হজ্ব – حج تمتع
৩। ইফরাদ হজ্ব – حج إفراد
আমারা যারা মক্কার বাহিরে অবস্থান করি, উপরের ৩ টি হজ্বের যে কোনোটি আদায় করতে পারব। তবে এই তিন প্রকার হজ্বের মধ্যে সর্বোত্তম হলো কিরান হজ্ব, এরপর তামাত্তু হজ্ব, এরপর ইফরাদ হজ্ব। সংক্ষেপে নিচে প্রতিটির পরিচয় উল্লেখ করা হলো।
হজ্বে কিরান
একই ইহরামে উমরাহ ও হজ্ব উভয়টি আদায় করার নাম হচ্ছে কিরান হজ্ব। কিরান হজ্ব আদায়কারী প্রথমে মক্কা মুকাররামায় পৌঁছে উমরা করবে এরপর ইহরাম না ভেঙ্গেই উক্ত ইহরামে হজ্বের সময়ে হজ্ব আদায় করবে এবং কুরবানি দিবে।
তামাত্তু হজ্ব
তামাত্তু হজ্ব আদায়কার মীকাত থেকে শুধু উমরার নিয়তে ইহরাম বাঁধবে। মক্কা মুকাররামায় পৌঁছানোর পর উমরার কাজ সম্পন্ন করবে। এরপর চুল কেটে বা চেঁছে ইহরামমুক্ত হয়ে যাবে। অতপর মক্কা থেকে পুনরায় মক্কার মুকিম হিসেবে হজ্বের ইহরাম বাঁধবে এবং হজ্বের নির্ধারিত কাজগুলো সম্পন্ন করবে ও কুরবানি দিবে।
ইফরাদ হজ্ব
ইফরাদ হজ্ব আদায়কারী মীকাত থেকে শুধু হজ্বের নিয়তে ইহরাম বাঁধবে। মক্কা মুকাররমায় পৌঁছানোর পর উমরা না করে তাওয়াফে কুদূম (সুন্নত তাওয়াফ) করে ইহরাম অবস্থায় হজ্বের জন্য অপেক্ষা করতে থাকবে। অতপর নির্ধারিত সময়ে হজ্বের আমলগুলো সম্পন্ন করবে।
হাদিস শরিফে এসেছে,
উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রা.) বলেন,
‘বিদায় হজ্বে আমরা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে রওনা হলাম। আমাদের মধ্যে কেউ (তামাত্তুর নিয়তে প্রথমে) উমরার জন্য তালবিয়া পাঠ করলেন, কেউ (কিরানের নিয়তে) হজ্ব ও উমরার জন্য তালবিয়া পাঠ করলেন এবং কেউ (ইফরাদের নিয়তে) শুধু হজ্বের ইহরাম করলেন। আর রাসূলুল্লাহ (সা.) হজ্জে ইফরাদের জন্য তালবিয়া পাঠ করলেন। যারা শুধু হজ্ব বা একত্রে হজ্ব-উমরার (কিরানের) ইহরাম গ্রহণ করেছিলেন তারা ১০ যিলহজ্বের পূর্ব পর্যন্ত ইহরাম থেকে মুক্ত হননি।’ [সহিহ বুখারি ১/২১২]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/1333/article-details.html