প্রশ্ন
দম কাকে বলে? কী কী কারণে দম ওয়াজিব হয়?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
দম হচ্ছে হজ্ব বা উমরার কাফফারা।
২ টি কারণে দম ওয়াজিব হয়:-
১। ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কোনো কাজ করলে।
২। হজ্বের কোনো ওয়াজিব আমল ছেড়ে দিলে।
সুতরাং ইহরাম অবস্থায় যদি কোনো ব্যক্তি নিষিদ্ধ কোনো কাজ লিপ্ত হয় অথবা হজ্ব আদায়ের সময় হজ্বের কোনো ওয়াজিব ছেড়ে দেয় তাহলে তার উপর কাফফারা স্বরূপ দম দেয়া ওয়াজিব হবে।
দম এর পরিমাণ হলো কুরাবানির পশুর ন্যায়।
অর্থাৎ ছাগল কিংবা দুম্বার ক্ষেত্রে ১ ভাগ এবং গরু কিংবা উটের ক্ষেত্রে ৭ ভাগের ১ ভাগ। দমের পশুকে অবশ্যই মিনা কিংবা মক্কাতে জবাই করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, দমের পশুর গোস্ত গরিবদের সদকা করে দিতে হবে। নিজে বা কোনো ধনী ব্যক্তি তা খেতে পারবে না।
বি. দ্র. তামাত্তু ও কিরান হজ্ব আদায়কারীদের শুকরিয়া স্বরূপ অতিরিক্ত যে কুরবানি আদায় করতে হয় ফিকহের কিতাবে তাকেও দম বলা হয়েছে। এ প্রকারের দমকে দমে শোকর বলা হয়।
মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস: ১৪৮৩৩, মুআত্তা মুহাম্মাদ পৃ. ২৩৮, কিতাবুল আছার, ইমাম মুহাম্মাদ পৃ. ৫৩
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/1351/article-details.html